গিয়াসউদ্দিনের একক চিত্রকলা প্রদর্শনী শুক্রবার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৫৬ পিএম, ০২ এপ্রিল ২০১৯

 

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী কাজী গিয়াসউদ্দিনের একক চিত্রকলা প্রদর্শিত হবে আগামী শুক্রবার। এদিন বিকেলে রাজধানীর বেঙ্গল শিল্পালয়ে এ চিত্রকলার আয়োজন করা হয়েছে। আর এরই মধ্য দিয়ে নববিন্যাসে সজ্জিত বেঙ্গল শিল্পালয়ের দ্বার উন্মোচন করা হবে।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রদর্শনী একযোগে উদ্বোধন করবেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন ফজলে হাসান আবেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু ইযুমি।

কাজী গিয়াসউদ্দিনের জন্ম ১৯৫১ সালে, বাংলাদেশের মাদারীপুরে। ঢাকা গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড ক্রাফটস থেকে ১৯৭০ সালে পেইন্টিংয়ে স্নাতক এবং ১৯৭২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন।

তিনিই প্রথম বাংলাদেশি যিনি ১৯৮৫ সালে টোকিও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ফাইন আর্টস অ্যান্ড মিউজিক থেকে ফাইন আর্টসে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। গিয়াসউদ্দিন ঢাকা ও টোকিওতে তার সৃজন নিয়ে ব্যাপৃত থাকেন। এ দুটি শহর হয়ে ওঠে তার সৃষ্টির ক্ষেত্র। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ, জাপানসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হয়েছেন।

শিল্পী হিসেবে গিয়াসউদ্দিন স্বতন্ত্র। প্রকৃতির অন্তর্নিহিত স্পন্দন ও সৌন্দর্য তার চিত্রতলে এক সূক্ষ্ম-নিপুণ-সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়ায় স্থিতি পায়, যা তিনি আয়ত্ত করেছেন পরম নিষ্ঠা, গভীর মনঃসংযোগ আর সুদীর্ঘ সাধনায়। তিনি বিশ্বাস করেন, রং ও প্রকরণ অবিভাজ্য। নিসর্গের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য উপলব্ধির জন্য অপরিহার্য।

বিশ্বের ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সংগ্রহে কাজী গিয়াসউদ্দিনের চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বেঙ্গল ফাউন্ডেশন এবং জাপানের দ্য টোকিও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ফাইন আর্টস অ্যান্ড মিউজিক এবং ফুকুওকা মিউজিয়ামে তার চিত্রকর্ম সংগৃহীত হয়েছে। ২০১৮ সালে কাজী গিয়াসউদ্দিন জাপানের সম্রাট কর্তৃক প্রদত্ত ‘অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান’ সম্মাননায় ভূষিত হন।

এসএস/এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।