ড. রাজনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর আলামত মেলেনি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডেন্টাল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং খাদ্যমন্ত্রী সাধন মজুমদারের জামাতা রাজন কর্মকারের (৩৯) মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন থাকলেও এ পর্যন্ত অস্বাভাবিক মৃত্যুর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনার তদন্ত নিয়ে মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম মুন্সী জাগো নিউজকে বলেন, ‘সুরতহাল প্রতিবেদনসহ এ পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তাতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর কোনো আলামত মেলেনি। এ ঘটনায় একটি অভিযোগ ছাড়া পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলাও করা হয়নি। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।’
পুলিশের তৈরি রাজন কর্মকারের সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, নিহতের ডান বগলের নিচে লালচে কালসিটে দাগ দেখা গেছে। এছাড়া বুক, পেট, নাভি, হাত, পা, পুরুষাঙ্গ ও মলদ্বার স্বাভাবিক ছিল। শরীরের অন্য কোথাও কোনো দাগ পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন ডিএমপির শেরেবাংলা নগর থানার এসআই জামিল হোসাইন এবং এসআই মো. শামীম উদ্দিন।
জাগো নিউজকে তারা জানান, রাজন কর্মকারের মৃত্যুর সংবাদ শুনে স্কয়ার হাসপাতালের ফ্রিজ থেকে মরদেহ বের করে রাজেশ মজুমদার, তারেক রহমান, মিশু ও বিশাল মজুমদার নামে চারজনের সামনে ওলট-পালট করে সুরতহাল প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। তবে প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করার অনুরোধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মার্চ ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর ইন্দিরা রোডের বাসা থেকে রাজনকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রাজন বিএসএমএমইউতে ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তার স্ত্রী কৃষ্ণা মজুমদার একই প্রতিষ্ঠানের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।
এআর/এমএমজেড/পিআর