মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে এফআর টাওয়ারের প্রতিষ্ঠান-কর্মকর্তারা
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩৭ পিএম, ০১ এপ্রিল ২০১৯
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বনানীর এফআর টাওয়ারে থাকা মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তারা। ভবনের ম্যানেজমেন্টের সহায়তায় প্রতিষ্ঠানের মালিক, কর্মকর্তাদের শনাক্ত করে তাদের এসব মালামাল নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। তবে কোন প্রতিষ্ঠান কী কী মালামাল নিয়ে যাচ্ছে তার তালিকা দিতে হচ্ছে পুলিশের কন্ট্রোল রুমে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে যারা ভবনের মালামাল আনতে যাচ্ছেন তাদেরকে প্রথমে নাম-ঠিকানা জানাতে হচ্ছে। এরপর একজন পুলিশ সদস্যকে সঙ্গে মালামাল বের করে আনতে হচ্ছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ভবনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মকর্তারা তাদের মালামাল সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছেন।
এফআর টাওয়ারের ১৬ তলায় রয়েছে মাইকা সিকিউরিটিজ গ্রুপ। এ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক জামান রাজা বলেন, এখানে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে নাম- ঠিকানা, প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে একজন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে সেফটি গার্ড নিয়ে ভবনে প্রবেশ করছি এবং প্রয়োজনীয় সব মালামাল নিয়ে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অন্যত্র অফিস সরিয়ে নিতে চেষ্টা করছি। নতুন অফিস খোঁজা হচ্ছে। যেখানে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে আমরা সেই ভবনেই অফিস নিয়ে যাবার বিষয়টি ভাবছি।’
এই ভবনে আগুন লাগার সময় কোনো অ্যালার্ম বাজেনি। যে কারণে বিভিন্ন ফ্লোর থেকে মানুষদের নামতে দেরি হয়েছে ও প্রাণও গেছে অনেকের বলে জানান জামান রাজা।
আমরা নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠানের টেকনিক্যাল সাপোর্টস শাখার আকাশ বলেন, ‘আমাদের ৬ তলায় অফিস রয়েছে সেখান থেকে আজ মালামাল নামিয়ে এনেছি। পুলিশ সদস্য সঙ্গে গিয়েছিল। কী কী মালামাল নামিয়ে এনেছি সেটির একটা লিস্ট করে পুলিশের কাছে রাখা হয়েছে।’
এজেড বিজনেস লিমিটেডের ম্যানেজার মেহেদি বলেন, ‘নতুন করে অফিস খোঁজা অনেক কষ্টের। জানি না কোথায় যাব। আপাতত মালামাল নিচ্ছি। ১৯ তলায় আমাদের অফিসের তালা ভাঙা পেয়েছি। চেয়ারম্যান-এমডির রুমের তালা ও গ্লাস ভাঙা দেখেছি।’
ডেন্টাল ক্লিনিকের (ডেন টোটাল) চতুর্থ ফ্লোরের ড. আল আমিন বলেন, ‘অনিশ্চিত অবস্থায় আছি, মালামাল নিয়ে কোথায় যাব ঠিক করিনি। নতুন অফিসও খুঁজিনি।’
বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে তারা এখানে এসে আমাদের বলছেন। ভবন ম্যানেজমেন্টের সহায়তায় ওই প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তাদের যারা মালামাল আনতে ভেতরে যাবেন তাদের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর রেখে একজন পুলিশ সদস্যকে সঙ্গে দিয়ে তাদের ভবনের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
এ পর্যন্ত ৮টি প্রতিষ্ঠান তাদের মালামাল সরিয়ে নিয়ে গেছে। মালামাল সরানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
জেইউ/এসআর/আরআইপি