গুলশানেও উৎসুক জনতা : বাধাগ্রস্ত আগুন নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম
রাজধানীর বনানীর বহুতল ভবনের পর এবার গুলশান-১ এর ডিএনসিসি মার্কেটের কাঁচা ও সুপার মার্কেটে আগুন লেগেছে। শনিবার ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট কাজ করে।
উৎসুক মানুষের জন্য বনানীর বহুতল ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের যেমন বেগ পেতে হয়েছিল গুলশানের আগুন নেভাতেও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের তেমনই অসুবিধা হয়। উৎসুক জনতার ভিড়ে অগ্নিনির্বাপণ করাই কঠিন হয়ে পড়ে তাদের।
ডিএনসিসি মার্কেটের সামনের সড়কে ও মার্কেটের ভেতরে শত সহস্র মানুষ ভিড় করেন। কেউ মোবাইলে ছবি বা ভিডিও ধারণ করেন কেউবা অযথাই দাঁড়িয়ে থাকেন। এর ফলে ফায়ার সার্ভিস, সিটি কর্পোরেশনের পানি সরবরাহের গাড়ি ঢুকতে সমস্যা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে উৎসুক মানু্ষকে নিরাপদ দূরত্বে সরে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় সহযোগিতা করতে আহ্বান জানানো হলেও কেউ শুনছেন না। ফলে আমাদের কাজে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গুলশান লেকে পাম্প বসিয়ে পানি সরবরাহ করছেন। এছাড়া আশেপাশের ভবন থেকেও পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, গুলশান-১ এর ডিএনসিসি মার্কেটের কাঁচা ও সুপার মার্কেটে মূল আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে চারিদিকে অতিরিক্ত ধোয়া সৃষ্টি ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে বাঁচতে আশেপাশের দোকানিরা তাদের মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন।
২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি একই মার্কেটে আগুন লেগেছিল। সেই সময় ১৬ ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। মার্কেটের নিচতলা ও দোতলার মোট ৬০৫টি দোকান পুড়ে গিয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বনানীর ২২তলা এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৫ জন নিহত ও ৭১ জন আহত হয়েছেন। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এএস/এআর/আরএস/এমএস