অফিস প্রতিনিধিদের নিয়ে ভবনের ভেতরে পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৫৫ পিএম, ২৯ মার্চ ২০১৯
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বনানীর এফআর টাওয়ারের বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে ভবনের ভেতরে ঢুকেছে পুলিশ। পুলিশের ২২টিম ও প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের দুইজন করে প্রতিনিধি ভবনের ভেতরে ঢুকেছেন।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মূলত, অফিসের অক্ষত মালামাল মালিকদের বুঝিয়ে দিতে তাদের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অফিসগুলোতে প্রতিনিধিরা যাবেন। তারা গিয়ে নিজ নিজ অফিসের অবস্থা দেখে আসবেন। এ ছাড়া অফিসে যদি মূল্যবান জিনিসপত্র ও টাকা-পয়সা থাকে তা সঙ্গে করে নিয়ে আসবেন।
শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ফায়ার সার্ভিস তাদের কাজ শেষ করে পুলিশের কাছে ভবন হস্তান্তর করে। এরপর ভবনে থাকা অফিসগুলোর মালিক বা প্রতিনিধিদের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভবনটির নিচ তলার একটি অফিস আমেরিকার ডেইরি মিল্কের সেলস সেন্টার। এটির কর্মকর্তা রনি হালদার বলেন, আমাদের এখন পুলিশ ভেতরে নিয়ে যাচ্ছে। ভেতরে গিয়ে আমরা নিজেদের অফিসের অবস্থা দেখে আসব। টাকা-পয়সাসহ মূল্যবান কিছু থাকলে নিয়ে আসব।
এদিকে আরএফ প্রোপার্টিজ লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, ভবনটির ২২ তলায় সর্বমোট ২৯টি প্রতিষ্ঠানের অফিস ছিল। এসব প্রতিষ্ঠানের দুজন করে প্রতিনিধি ভিতরে নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ডিএমপির গুলশান বিভাগের ডিসি মোস্তাক আহমেদ বলেন, ভেতরে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের দুজন করে প্রতিনিধি নেয়া হয়েছে। তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের মালামালের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করবেন। তবে আপাতত কাউকে কোনো মালামাল নিতে দেয়া হবে না।
এর আগে আজ সকালে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কাজ শেষ করে ভবনটি পুলিশের কাছে বুঝিয়ে দেবেন। তখন পুলিশ, পূর্ত মন্ত্রণালয় এবং সিটি কর্পোরেশন - আমরা পুরো বিল্ডিংয়ের দায়িত্ব নিয়ে নেব। মালিক আসবেন। ফ্লোরওয়াইজ কোন অফিসের কে মালিক, কোন ফ্লোরে কে ছিল ইতোমধ্যে আমরা তালিকা করেছি। প্রতিটা ফ্লোরের জন্য একটা করে টিম করেছি। সে হিসাবে ২২টা টিম করা হয়েছে। প্রকৃত মালিককে আমরা তার অফিসে নিয়ে যাব। একজন যেন আরেকজনের অফিসে ঢুকতে না পরে, কোনো ধরনের যেন কিছু মিসিং না হয়, কোনো ধরনের ক্ষতি না হয়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে বনানীর এফ আর টাওয়ারের নবম তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট আগুন নেভানো ও হতাহতদের উদ্ধারে কাজ করে। পাশাপাশি সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী এবং পুলিশ, র্যাব, রেড ক্রিসেন্টসহ অন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা উদ্ধারের কাজে সহায়তা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ২৫ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৪ জনের মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এএসএস/জেইউ/জেডএ/এমকেএইচ