শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে সবুরের
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৩৯ পিএম, ২৯ মার্চ ২০১৯
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের অবজারবেশন রুমের এক নম্বর বেডে শুয়ে আছেন আব্দুস সবুর খান। নাকে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো। ২৪ ঘণ্টা আগে বনানীর এফআর টাওয়ার থেকে উদ্ধার হয়ে দ্বিতীয় জীবন ফিরে পান তিনি। শ্বাসনালীতে ধোঁয়া যাওয়ার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হচ্ছে তার।
শুক্রবার সরেজমিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে গিয়ে এমন চিত্র চোখে পড়ে। মাঝে মাঝে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছিলেন।
সবুর এফআর টাওয়ারের ১১ তলায় আটকে ছিলেন দীর্ঘক্ষণ। পরে বিকেল ৪টায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহযোগিতায় বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন।
আবেগাপ্লুত কণ্ঠে সবুরের স্ত্রী বলেন, ডাক্তার বলল সবুরের শ্বাসনালীতে গরম ধোঁয়া ঢুকেছে। জোরে শ্বাস নিতে পারছে না। গতকাল থেকে শুধু স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছিল। সকালে একবার একঘণ্টা অক্সিজেন চেম্বারে অক্সিজেন দিয়েছি। এভাবে আরও ৪/৫ দিন দিতে হবে। আজ সকালে সামান্য জাউ ভাত খেতে দিয়েছি। সবাই আমার স্বামীর জন্য দোয়া করবেন।
বার্নের অবজারবেশন রুমে থাকা তৌকির হোসেন নামে আরেক রোগী জাগো নিউজকে বলেন, গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে ফায়ার সার্ভিস সিঁড়ির মাধ্যমে আমাকে নিচে নামায়। এখানকার চিকিৎসকরা অনেকগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছেন। এখন শ্বাসকষ্টে সমস্যা রয়েছে।
ঢামেকে এই মুহূর্তে বনানীর ঘটনায় আহত ও দগ্ধ অবস্থায় মোট ৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে অবজারভেশন রুমে রয়েছেন আব্দুস সবুর খান, তৌকির হোসেন, সাব্বির। সর্বশেষে অনুপম দেবনাথ নামের একজনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢামেক বার্ন ইউনিটে আনা হয়েছে। রেজওয়ানুল ইসলাম নামে একজন রোগী এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেকের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোট ১৯ জন নিহত হন বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ নিহতের সংখ্যা ২৫ বলে দাবি করছেন। এ ঘটনায় মোট আহত হন ১২০ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ৫৬ জন রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণের পর অন্যরা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এআর/এফএইচএস/জেএইচ/এমকেএইচ