আবরারকে চাপা দেয়ার পর এক মিনিট পর্যন্ত কেউ এগিয়ে আসেনি
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২৩ পিএম, ২৭ মার্চ ২০১৯
প্রগতি সরণিতে গত ১৯ মার্চ সকালে বাসচাপায় নিহত হয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী।
বেপরোয়া গতির সু-প্রভাত পরিবহনের বাসটি (ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৪১৩৫) প্রথমে শাহজাদপুরের বাঁশতলা এলাকায় মিরপুর আইডিয়াল গার্লস ল্যাবরেটরি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সিনথীয়া সুলতানাকে চাপা দিয়ে গুরুতর জখম করে। এরপর বাসের যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে চালক সিরাজুল ইসলামকে আটক করে ট্রাফিক পুলিশে হস্তান্তর করে।
তবে বাস মালিকের নির্দেশে কনডাক্টর ইয়াসিন বাসটি নিয়ে পালানোর চেষ্টার সময় চাপা দেয় আবরারকে। আবরারকে চাপা দেয়ার ভিডিওটি জাগো নিউজের হাতে রয়েছে। পাশের সড়কের একটি সিসিটিভি ক্যামেরার দুর্ঘটনার দৃশ্যটি ধরা পড়ে।
ফুটেজে দেখা গেছে, গেট লাগানো অবস্থায় সু-প্রভাত পরিবহনের বাসটি আবরারকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আবরারের মরদেহ ছিটকে পড়ে সামনে। ব্যাগটি সেখানেই পড়েছিল। তার নিথর দেহটি এক মিনিট সেখানে পড়েছিল। একজন পথচারী সড়কের মাঝে গিয়ে সাহায্যের জন্য ডাকলেও কেউ আসেনি। আশপাশে কেউ গাড়িও থামায়নি। প্রায় ৭০ সেকেন্ড পর আশপাশের কয়েকজন মরদেহের সামনে এসে দাঁড়ায়।
উল্লেখ্য, ১৯ মার্চ সকালে প্রগতি সরণি এলাকায় সু-প্রভাত পরিবহনের একটি বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী নিহত হন। পরে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা আট দফা দাবি ঘোষণা করেন। পরে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করে ২৮ মার্চ পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেন।
এআর/এএইচ/এমকেএইচ