প্রবৃদ্ধি আট ভাগ অর্জন করতে যাচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৪৪ পিএম, ২৫ মার্চ ২০১৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের বাংলাদেশ আমাদের এক দশকের প্রচেষ্টার বাংলাদেশ। আমরা আমাদের প্রবৃদ্ধি এ অর্থবছরে আট ভাগ অর্জন করতে যাচ্ছি। আমাদের মাথাপিছু আয় এক হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলার অর্জন করতে যাচ্ছি।

সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত স্বাধীনতা পদক-২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে ২৫শে মার্চ, গণহত্যা দিবস। ইতোমধ্যে আমরা কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর গণহত্যা চালিয়েছিল, আমরা লাখো মানুষ হারিয়েছি। কাজেই এ দিনটি গণহত্যা দিবস হিসেবে যেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায় সেটার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

তিনি বলেন, ২৬শে মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। এ দিবস আমরা আগামীকাল উদযাপন করব। বাংলাদেশের মানুষের একেবারে গ্রামের প্রতিটি মানুষের ঘরে যেন স্বাধীনতার সুফল পৌঁছায়, প্রতিটি মানুষ যেন উন্নত জীবন পায়। একটি মানুষও ক্ষুধার্ত থাকবে না, গৃহহারা থাকবে না। বিনা চিকিৎসায় কষ্ট পাবে না। তাদের জীবনটা অর্থবহ হবে, সুন্দর হবে, উন্নত হবে- সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করে যাচ্ছি। আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জীবনে এ স্বাধীনতার সুফল পৌঁছাক। যেটা জাতির পিতার লক্ষ্য ছিল, স্বপ্ন ছিল। তিনি বেঁচে থাকলে আমরা স্বাধীনতার পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যেই তা অর্জন করতে পারতাম। কিন্তু ১৫ই আগস্ট আমাদের সেই সম্ভাবনা কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু আজকে যখন আমরা সেই সুযোগ পেয়েছি তার আদর্শ বুকে ধারণ করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আজকে আমাদের সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আমাদের শিল্প, কলা, সাহিত্য, গবেষণা বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা অবদান রেখেছেন তাদের আমরা স্বাধীনতা পুরস্কার দিতে পেরেছি, এটা আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। গুণীজনকে আমরা সম্মান দিতে পেরেছি। তবে আমরা জানি এ রকম আরও অনেকজন রয়ে গেছেন, সবাইকে হয়তো আমরা দিতে পারছি না।

এইউএ/জেডএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।