বাঘাইছড়িতে নিহতদের সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা করে দেবে ইসি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:০৪ পিএম, ২১ মার্চ ২০১৯
ফাইল ছবি

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা করে দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া তাদের পরিবারের কেউ যদি চাকরিযোগ্য থাকে এবং নির্বাচন কমিশনে যদি সুযোগ থাকে তাহলে তাদের চাকরি দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। এ সময় ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি বলেন, পাহাড়ের ওপর থেকে দুষ্কৃতকারীদের অতর্কিত গুলিবর্ষণে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সাতজন নিহত এবং ২৪ জন আহত হয়েছেন। এই নৃশংস ও বর্বর হামলায় নির্বাচন কমিশন মর্মাহত।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সিইসি বলেন, এ ঘটনা ঘটার সাথে সাথে কমিশন তাদের উদ্ধার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। আহতদের মধ্যে সাতজনকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে এবং অন্যদের চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এগুলো চোরাগুপ্তা হামলা। এ জাতীয় ঘটনা ঘটবে এটা তো কেউ আশঙ্কা করে না। সতর্কতা হিসেবে আমরা সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছি। ফলে সারাদিন নির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। যদিও তারা কোথাও কোথাও অপচেষ্টা চালিয়েছিল। সার্বক্ষণিক টহলের কারণে তারা নির্বাচন ব্যাহত করার চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি। রাতের অন্ধকারে এত বড় পাহাড়ি অঞ্চলে কোথায়, কীভাবে এ জাতীয় আক্রমণ হয় এটা অ্যাসেস করা এবং পিঙ্ক আউট করা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, এরকম হামলা স্থায়ী হয় না। এক মিনিট বা দুই মিনিট হামলা করে তারা চলে যায়। এক দেড় মিনিটের মধ্যে একটা বাহিনী প্রস্তুতি নিয়ে আবার কাউন্টার অ্যাটাক করা সম্ভব নয়। হামলার পর বিজিবির যে গাড়ি ছিল তারা সেখানে গিয়ে উদ্ধার করা, আহতদের ওখান থেকে সরিয়ে নেয়া, আমাদের খবর দেয়া, হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা- এসব কাজ তারা করেছে। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তারা কেউ যে গাফিলতি করেছে তা নয়।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে বা সব দেশেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন বর্জন করার রীতি আছে। বর্জন করে ফেলে। বর্জন করে পরবর্তীতে এ রকম অবস্থা হবে এটা তো ধারণা করা সম্ভব হয়নি।’

প্রাথমিকভাবে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না। এখনও তদন্তাধীন। এখনও সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত মনে করি, এটা আঞ্চলিক সমস্যার বহিঃপ্রকাশ বা যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে তারা এটা করে থাকতে পারে। এটা আমাদের ধারণা।’

সিইসি আরও বলেন, দেশের অন্যান্য জায়গায় পরিস্থিতি ভালো।

ভোটাররা তো ভোট দিতে যাচ্ছে না। উপস্থিতি খুবই কম, আপনাদের আহ্বানটা কি থাকবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘ভোটাররা আসবে কি আসবে না সেটা প্রার্থীদের দায়িত্ব। যারা ভোট দিতে আসবে তারা ভোট দেবে, যারা আসবে না তারা দেবে না। এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই।’

এইচএস/এমবিআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।