রাজধানীতে অস্ত্রগুলিসহ ১১ ডাকাত আটক
রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস ডিপো এলাকায় দোকানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১১ ডাকাত সদস্যকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
যাত্রাবাড়ী থানাধীন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ওয়্যার হাউজ এলাকা থেকে বুধবার রাত ১১টার দিকে তাদের আটক করা হয়।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান জানান, আটক ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন- মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে বাবু, হাফিজুর রহমান ওরফে সুমন, আতিকুল ইসলাম খান ওরফে আলাউদ্দিন, শফি ওরফে বাবুল, কামরুল ইসলাম, আলমগীর গাজী ওরফে পাতা, জালাল শেখ, সোহেল রানা ওরফে জয়, তাজরুল ইসলাম, মো. মানিক ও আ. খালেক হাওলাদার ওরফে কবির।
এ সময় তাদের হেফাজত থেকে একটি পাইপগান, ৩ রাউন্ড কার্তুজ, ৫টি চাপাতি, ৩টি ছোরা, একটি শাবল, একটি তালা ভাঙ্গার রড, গ্রিল ও তালা কাটার ইলেকট্রিক মেশিন, ১০টি গ্রিল ও তালা কাটার মেশিনে কাটার হিসেবে ব্যবহৃত আয়রন প্লেট/চাকতি ও একটি ট্রাক।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটক ডাকাতরা যাত্রাবাড়ী থানার সায়দাবাদ বাস ডিপোর পাশের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ওয়্যার হাউজ, অঞ্চল-৫, এর উত্তর পাশের দোকানে ডাকাতি করার লক্ষে জড়ো হয়েছিল। তারা ঢাকা, যশোর, বাগেরহাট ও পটুয়াখালী জেলায় বিভিন্ন সময় ব্যবসায়িক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে, বাসাবাড়িসহ সড়কে ডাকাতি করেছে।
আটকরা আরও জানান, গত ১৬ মার্চ কুমিল্লার দাউদকান্দি থানা সদরে একটি পাইকারি কাপড়ের দোকানে এবং ১৮ মার্চ মৌলভীবাজার জেলা সদরে তাজমহল টাওয়ার মার্কেটে ডাকাতির চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশি তৎপরতায় ডাকাতি করতে ব্যর্থ হয়। আসামিরা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের কলকাতা, বনগাঁও, কৃষ্ণনগর ও শিলিগুড়ি এলাকার বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করেছে। আটকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, ডাকাতির প্রস্তুতি ও চুরি সংক্রান্ত একাধিক মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।
এ ছাড়াও তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ীভাবে ফ্ল্যাট/বাসা ভাড়া নিয়ে সুন্দরী তরুণীদের দিয়ে বিত্তবান ব্যক্তিদের টার্গেট করতো। এরপর মোবাইল ফোনে ফাঁদ পেতে নগদ টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার ও ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করিয়ে নিতো। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
জেইউ/এনডিএস/এমকেএইচ