১৩ লাখ ৬৫ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ চাষের লক্ষ্যমাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৪৯ পিএম, ২১ মার্চ ২০১৯

কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, বর্তমানে আউশ মৌসুমে সারাদেশে ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৪১২ হেক্টর জমিতে আউশ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬১ হাজার ৩৫৪ দশমিক ৮১ হেক্টর জমিতে প্রণোদনা কার্যক্রমের মাধ্যমে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আউশে প্রণোদনা প্রদান সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রণোদনার আওতাধীন জমি থেকে চাল উৎপাদন হবে প্রায ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৫২ মেট্রিকটন যার মূল্য ৫৭৮ কোটি ৮৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৪০ টাকা। খড় উৎপাদন হবে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৪৩ মেট্রিকটন যার মূল্য ২৪ কোটি ৬৬ লাখ ৪৩ হাজার ৪০৬ টাকা। অর্থাৎ চাল ও খড় উৎপাদন বাবদ মোট আয় হবে ৬০৩ কোটি ৫৪ লাখ ৯৪৫ টাকা।

তিনি আরও বলেন, প্রণোদনার আওতায় আউশ ধানে ১ টাকা খরচ করলে কৃষিক ১ টাকা ২০ পয়সা পাবেন। আউশে ১ টাকা বিনিযোগ করলে ব্যয় বাদ দিয়ে কৃষকের নিট আয় হবে ২০ পয়সা। শতকরা হিসেবে সেটি দাঁড়ায় ২০ টাকায়।

কৃষিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, খরিপ-১ মৌসুমে আউশ প্রণোদনা কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে দানা জাতীয় খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও বরেন্দ্র এলাকায় যেখানে সেচ সুবিধা নাই সেখানে বোরো আবাদ ব্যাহত হয় এবং এই সমস্ত এলাকায় বোরোর পরিবর্তে আউশ আবাদ উৎসাহিত করতে আউশ নির্ভর জেলাসমূহে উচ্চ ফলনশীল আউশের জাত অধিক জনপ্রিয় করতে সরকার এ প্রণোদনা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

আউশ ধানের উৎপাদন বাড়াতে সরকার দেশের ৪ লাখ ৫৯ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে বিনামূল্যে ৪০ কোটি টাকার বীজ ও রাসায়নিক সার দেবে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।

এমইউএইচ/এমবিআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।