রাজধানীর রামপুরা-বাড্ডা-বসুন্ধরা রুটে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক। বুধবার বিকেল পৌনে ৫টায় রামপুরায় ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা কর্মসূচি স্থগিত করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। একই সঙ্গে যে ব্যারিকেডগুলো দেয়া হয়েছিল তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এরপরই রাস্তার দুই পাশে আটকে পড়া শত শত গাড়ি চলাচল শুরু করে।
সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী মৃত্যুর প্রতিবাদে বুধবার বেলা ১১টায় ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা রামপুরা ইউলুপের উত্তর পাশে অবস্থান নেন। রাস্তার দুই পাশে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করেন শিক্ষার্থীরা। ফলে হাজার হাজার যানবাহন আটকে পড়ে। অবরোধের কারণে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। অনেকেই বাধ্য হয়ে হেঁটে গন্তব্যে যান।
এর আগে সকাল থেকে ফের দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গেটে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পর্যায়ক্রমে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে বিকেলে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো ক্রমান্বয়ে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। মেয়রের আশ্বাসে ২৮ মার্চ পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। ঘাতক সু-প্রভাতের চালক সিরাজুল ইসলামের (২৪) বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর প্রগতি সরণির বসুন্ধরা এলাকায় সু-প্রভাত পরিবহনের একটি বাসের চাপায় বিইউপি’র ছাত্র আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী নিহত হন। এর জেরে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আবারও আন্দোলনে নামেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এফএইচএস/জেএইচ/এমএস