আর কত প্রাণ গেলে...

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫০ পিএম, ২০ মার্চ ২০১৯

‘আর কত প্রাণ গেলে তোরা ক্ষান্ত হবি? আমার ভাই কবরে কেন- প্রশাসন জবাব চাই’ স্লোগান দিচ্ছিলেন রাজধানীর সাইন্সল্যাবে অবরোধ করা শিক্ষার্থীরা। আজ নর্দা এলাকার প্রগতি সরণিসহ শাহবাগ, ফার্মগেট, সাইন্সল্যাব, ধানমন্ডি, পুরান ঢাকায়ও রাস্তায় নামেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

গতকাল প্রগতি সরণিতে সু-প্রভাত বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী নিহত হন। এ ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো আজ বিক্ষোভ-অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার দুপুর থেকে ফার্মগেট বিজ্ঞান কলেজ, ধানমন্ডি বয়েজ স্কুল, ডেফোডিল ইউনির্ভাসিটি, সাইন্সল্যাবের সিটি কলেজের ছাত্রছাত্রীরা দলে দলে রাস্তায় নামেন। এ সময় রাস্তায় বাস ও অন্যান্য পরিবহন থামিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করেন তারা।

ar-koto

‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছিলেন শিক্ষার্থীরা। রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্সসহ গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন পারাপারে শিক্ষার্থীরা সহযোগিতা করেন। তবে লাইসেন্সও পরীক্ষা করেন তারা।

বিইউপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রথম বর্ষের ওই নিহত শিক্ষার্থী বসুন্ধরা এলাকার বাসিন্দা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আরিফ আহমেদ চৌধুরীর ছেলে। গতকালই তাকে বনানীর কবরস্থানে দাফন করা হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনায় দায়ী বাসচালকের সর্বোচ্চ শাস্তির পাশাপাশি আট দফা দাবি জানিয়েছেন। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজ নিয়মিত পরীক্ষা করা, পরিবহন খাতকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করা, ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তায় পদচারী সেতু ও স্পিডব্রেকার নির্মাণ এবং অনুপযোগী যানবাহন চলাচল বন্ধ করা।

এফএইচ/জেডএ/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।