মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের বৃত্তি দিল ভারতীয় হাইকমিশন
বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারত সরকার প্রতি বছর মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের বৃত্তি প্রদান করে থাকে। এ বছরও দুই হাজার ২০০ জন শিক্ষার্থী নতুন ও পুরনো প্রকল্পের অধীনে বৃত্তি লাভের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ভারতীয় হাইকমিশন নির্বাচিত প্রার্থীদের বৃত্তি প্রদানের জন্য মিশনের চ্যান্সেরি কমপ্লেক্সে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল প্রধান অতিথি এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের জিওসি-ইন-সি সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধাগণ ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন আমলাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুটি প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৯৫৭ জন শিক্ষার্থীকে মোট ২৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। ২০০৬ সালে ভারত সরকার মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের জন্য ‘মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্প’ চালু করে। এ প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৩৩৬ জন শিক্ষার্থী উপকৃত হয়েছেন এবং এ উদ্দেশে ১৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘নতুন ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বৃত্তি প্রকল্প’ ঘোষণা করেন। এ প্রকল্পের অধীনে পাঁচ বছরে ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীকে ৩৫ কোটি টাকা প্রদান করার ঘোষণা দেয়া হয়।
প্রতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে এক হাজার করে মোট দুই হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ২০ হাজার টাকা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেয়া হয়। ২০১৮ সাল হতে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।
এ বছর থেকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগের সঙ্গে ডিরেক্ট ব্যাংক ট্রান্সফার (ডিবিটি) পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বৃত্তির পরিমাণ সরাসরি জমা হবে।
জেপি/বিএ