যান চলাচল বন্ধ, ভরসা কেবল পা
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৪৫ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৯
সু-প্রভাত বাসের চাপায় আবরার আহমেদ চৌধুরী নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক গেট এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে অবরোধ করছে শিক্ষার্থীরা। অবরোধের কারণে এই সড়কে যানচলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছাতে তাই বাধ্য হয়েই পায়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অবরোধ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অবরোধে কারণে রামপুরা-মালিবাগের দিক আসা গণপরিবহনসহ সকল যানবাহন নতুন বাজার এলাকা থেকে ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে উত্তরা, বিমানবন্দর, খিলক্ষেতের দিক থেকে আসা যানবাহনগুলো কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ করে সড়কে বসে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।
নতুন বাজার থেকে রামপুরা সড়কে এবং কুড়িল বিশ্বরোড থেকে খিলক্ষেতের রাস্তায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়েছে। বসুন্ধরা এলাকায় পুরো যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। যার ফলে সাধারণ মানুষকে বাধ্য হয়েই পায়ে হেঁটেই এই পথ দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে করে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। কিছুটা পথ পায়ে হেঁটে, কিছুটা রিকশায় করে এ এলাকায় দিয়ে চলাচল করছেন পথচারীরা। তবে ভোগান্তির শিকার হলেও পথচারীরা বলছেন, আমাদের কষ্ট হলেও আমরা চাই সড়ক নিরাপদ হোক।
সাইদুর রহমান নামের একজন পথচারী বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত কাজে উত্তরা থেকে মালিবাগ যাচ্ছিলাম। কিন্তু ছাত্রদের আন্দোলনের কারণে বাস বন্ধ করে দিলে আমি কুড়িল বিশ্বরোড থেকে হেঁটে এসেছি। বাসসহ সব যানবাহন বন্ধ থাকায় নতুন বাজার পর্যন্ত হেঁটে যাব। সেখান থেকে বাস চলাচল করছে।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্রদের আন্দোলনে বাস বন্ধ থাকায় আমাদের মতো সাধারণ পথচারীদের ভোগান্তি হচ্ছে। তবুও আমরা চাই সড়ক নিরাপদ হোক। ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসুক।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা গেট এলাকায় সু-প্রভাত বাসের চাপায় মারা যান বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরী। তিনি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আরাফাত আহমেদের বড় ছেলে।
সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানীতে রোববার (১৭ মার্চ) থেকে শুরু হয়েছে পঞ্চমবারের মতো ট্রাফিক সপ্তাহ। এরই মধ্যে বাসচাপায় একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হলো।
এএস/জেইউ/এসআর/এমকেএইচ