নিবন্ধন ছাড়া মাছের খামার করলে জেল-জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪২ পিএম, ১৮ মার্চ ২০১৯

নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) ছাড়া মাছের খামার পরিচালনায় জেল-জরিমানার বিধান রেখে ‘মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৯’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অনুমোদনের কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘এই খাত ১৯৮৩ সালের একটি অধ্যাদেশ দিয়ে চলছিল। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে সামরিক শাসনামলে প্রণীত আইনগুলোকে নতুন করে বাংলায় করা হচ্ছে। সময়ের প্রেক্ষাপটে ওই অধ্যাদেশকে হালগানাদ করা হচ্ছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নিরাপদ মৎস্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে মৎস্য খামার স্থানীয় উপযুক্ত পদ্ধতিতে নিবন্ধন করতে হবে। মৎস্য খামার চালাতে গেলে রেজিস্ট্রেশন লাগবে।’

‘খসড়া আইন অনুযায়ী খামার পর্যায়ে ব্যবহার নিষিদ্ধ ওষুধ ও রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার করা যাবে না। মৎস্য ও মৎস্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় ফ্রেশ মাছ প্রক্রিয়া করতে হবে। পঁচা, দূষিত, ভেজাল ও অপদ্রব্য মিশ্রিত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য বাজারজাত করা যাবে না।’

এসব বিধান লঙ্ঘনে নতুন আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আগে এই অপরাধের জন্য তিন মাস জেল, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেয়া হতো।’

দ্বিতীয় দফায় একই অপরাধ করলে সাজা দ্বিগুণ হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।

শফিউল আলম বলেন, ‘উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে লাইসেন্স না নিয়ে মানুষের খাদ্য হিসেব মৎস্য ও মৎস্যপণ্য আমদানি করতে পারবে না।’

নতুন আইনে মৎস্যের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, সকল প্রকার কোমল ও কঠিন অস্থি বিশিষ্ট মৎস্য, সাদু ও লবণাক্ত পানির চিংড়ি, উভচর জলজপ্রাণী, কাকড়া জাতীয় প্রাণী, শামুক, ঝিনুক, ব্যাঙ এবং এসব জলজপ্রাণীর জীবন্ত কোষকে মৎস্য হিসেবে গণ্য করা হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মাছ রফতানিতে নানান রকম সমস্যা হয়, কোয়ালিটি নিয়ে। এজন্য আইনকে হালনাগাদ করা হয়েছে। মৎস্য ও মৎস্যপণ্যে ভেজাল, অপদ্রব্যের মিশ্রণ ও অনুপ্রবেশ করানো এবং ক্ষতিকারক রাসায়নিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’

‘আগে আমাদের উদাহরণ আছে, চিংড়ির ওজন বাড়ানোর জন্য পেরেক ঢুকানো হয়েছে বা জেলি বা সাগু তরল করে ঢোকানো হয়েছে, এগুলো আমাদের জন্য খুব অমর্যাদার, এগুলো যাতে না করতে পারে সেজন্য আইনে বিধান রাখা হয়েছে।’

শফিউল আলম বলেন, ‘উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে মৎস্যপণ্য যে স্বাস্থ্যকর সেই সনদ ছাড়া মৎস্য ও মৎস্যপণ্য রফতানি করতে পারবে না। তবে সরকার প্রয়োজনে গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে নির্ধারিত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য আমদানি করার এক বা একাধিক শর্ত থেকে অব্যাহতি দিতে পারবে।’

আরএমএম/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।