স্বাধীন দেশে গুম-হত্যা মেনে নেয়া যায় না


প্রকাশিত: ০৮:০৬ এএম, ৩০ আগস্ট ২০১৫

গুম একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। আন্তর্জাতিক আইনেও এটিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। অথচ, দেশে বর্তমানে গুম ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে ভিন্ন মতাবলম্বী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা এর শিকার হচ্ছেন। একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশে গুম, অপহরণ ও বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ কোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়া যায়না।

রোববার সকালে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে দেশের অন্যতম শীর্ষ মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ খুলনা ইউনিট আয়োজিত গুম বিরোধী র‌্যালি ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘অধিকার’ খুলনা ইউনিটের ফোকাল পার্সন মুহাম্মদ নূরুজ্জামান এতে সভাপতিত্ব করেন।

দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় নগরীর ফুল মার্কেট মোড় থেকে র‌্যালি বের হয়ে পিকসার প্যালেস মোড় ঘুরে শহীদ হাদিস পার্কে গিয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, দেশে ২০০৯ সাল থেকে গুমের ঘটনা ভয়ানকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সালের ২৯ আগস্ট পর্যন্ত ২১২ জন গুমের শিকার হয়েছেন।

মূলত, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচনের পর থেকে রাজনৈতিক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে গুমও বেড়ে গেছে। এতে দেশের সাধারণ নাগরিকরাও নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছেন। এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সুষ্ঠু গণতন্ত্র চর্চা এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

কর্মসূচিতে বক্তৃতা করেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ-জামান, দৈনিক সময়ের খবরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মোতাহার রহমান, সমাজ সংগঠক এস.এম সোহরাব হোসেন, সমাজ সেবক আলহাজ্ব শেখ নাজিমুদ্দিন আহম্মেদ, শেখ আব্দুল হালিম, শেখ আইনুল হক প্রমুখ।

আলমগীর হান্নান/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।