প্রবাসীদের হয়রানি রোধে বিমানবন্দরে সিসিটিভি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২৮ পিএম, ১৭ মার্চ ২০১৯

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, প্রবাসীরা দেশে ফেরার সময় যেন হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য ঢাকাসহ দেশের বিমানবন্দরে সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মনিটর করা হচ্ছে।

রোববার (১৭ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট আয়োজিত এক সেমিনারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা জানতে পারি যে, দেশে ফেরার সময় বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানির শিকার হতে হয়। এজন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ঢাকাসহ বিভিন্ন বিমানবন্দরে সিসিটিভি স্থাপন করেছি। এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মনিটর করা হচ্ছে। যাতে বিমানবন্দরে প্রবাসীদের কেউ হায়রানি না করতে পারে। সেজন্য জোড়ালোভাবে এসব মনিটর করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের ৭৮টি মিশনে অভিযোগ দেয়ার জন্য কল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। তবে দু-একটি মিশনে এখনো কল সেন্টার স্থাপন সম্ভব হয়নি। শিগগিরই সেগুলোতের কল সেন্টার স্থাপন করা হবে। কোনো প্রবাসী বিদেশে গিয়ে সমস্যায় পড়লে এসব কল সেন্টারে জানালেই তাদের সহযোগিতা করা হবে। এসব কল সেন্টার ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বঙ্গবন্ধু ছিলেন দূরদর্শী নেতা। তার ‘কারো সাথে বৈরিতা নয়, সবার সাথে বন্ধুত্ব’ নীতির কারণে আজও আমরা পররাষ্ট্র নীতিতে সুফল পাচ্ছি।

আবদুল মোমেন বলেন, আজকের এই ডিজিটাল বাংলাদেশ, উন্নয়নের রোল মডেল -এই বাংলাদেশের শিকড় তৈরি হয়েছে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ এর বঙ্গবন্ধুর বিদেশ নীতির ফলে। ‘আমি ভারতপন্থী নই, আমেরিকাপন্থী কিংবা চীনপন্থী নই; আমি আমার জনগণপন্থী’ এই চেতনা ধারণ করে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য যিনি ছুটেছেন প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্য। আদায় করেছেন স্বাধীন বাংলার স্বীকৃতি।

তিনি আরও বলেন, আমি জাতিসংঘে থাকার সময় ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস স্বীকৃতির জন্য চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশেই এ দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। তাই এটি সম্ভব হয়নি। তবে গত বছর আমাদের সংসদে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়েছে। আমরা আবারও জাতিসংঘ থেকে স্বীকৃতির জন্য এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করবো।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বঙ্গবন্ধু শীর্ষক এ সেমিনারে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক কামরুল হাসান খান, সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দোপাধ্যায়, ডিক্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. নুরুল ইসলাম হাসিব বক্তব্য রাখেন। এছাড়া সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত এ কে এম আতিকুর রহমান।

এমইউএইচ/আরএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।