মন-মগজ-তুলিতে মুজিব
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে ঢাকা মহানগরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। নানা সাজে অভিভাবকদের সঙ্গে আগেভাগেই স্কুল-কলেজে উপস্থিত হয়েছে শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণ ও তাদের কার্যক্রম দেখে মনে হয়েছে যেন ধরায় নতুনভাবে শেখ মুজিবের আগমন হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশর সকল স্কুল-কলেজে বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। বিদ্যালয় পর্যায়ে চিত্রাঙ্কন ও শিশুকণ্ঠে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি, রচনা পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ দোয়া-মোনাজাতের আয়োজন করা হবে।
অন্যদিকে কলেজ পর্যায়ের অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে রয়েছে রচনা, আবৃত্তি, আলোকচিত্র ও বির্তক প্রতিযোগিতা, প্রবন্ধ পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, দোয়া মাহফিল। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে এসব আয়োজন দেখা গেছে।
ঢাকার শেরেবাংলা নগর সরকারি মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে সকাল নয়টা থেকে দুই দেড়টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, আবৃত্তি, কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতা আবৃত্তিসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুপুরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন শিক্ষকরা।
এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ সৈয়দা জান্নাতুল নূর জাগো নিউজকে বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে শিক্ষার্থীদের মাঝে নানা প্রতিযোগিতা ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে জানতে তার আদর্শ ও বাংলাদেশে তার অবদান শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরা হয়েছে।’
রাজধানীর হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে নানা সাজে অভিভাবকদের নিয়ে শিক্ষাঙ্গনে পা রাখছে শিক্ষার্থীরা। প্রতিটি শিক্ষার্থীর মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনো কিছু করার প্রত্যয়-হোক সেটা কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্গন বা রচনা প্রতিযোগিতা। যেন তাদের মাঝে আগমন ঘটেছে বঙ্গবন্ধুর। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটিতে চিত্রাঙ্গন ও রচনা প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা ও সাংস্কৃতিক শিক্ষক রোকেয়া বেগম জাগো নিউজকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস উপলক্ষে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গত এক সপ্তাহজুড়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে নানা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রোববার সকাল থেকে কবিতা আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক আনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন সময়ের ঘটনা ও অবদানের ওপর ভিত্তি করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছিল। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।’
দিবসটি উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। জীবনী পাঠের পাশাপাশি জন্মবার্ষিকীতে শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরা হচ্ছে।
এমএইচএম/এসআর/এমএস