ডিএনসিসির কাউন্সিলরদের সঙ্গে পরিচিত হলেন মেয়র আতিকুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৫৯ পিএম, ১৪ মার্চ ২০১৯

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) কাউন্সিলরদের সঙ্গে পরিচিতি সভা ও মতবিনিময় করেছেন নবনির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার বিকেলে গুলশানের নগর ভবনে এ পরিচয়-পর্ব এবং মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভার শুরুতে প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক, প্রয়াত প্যানেল মেয়র ওসমান গণি এবং প্রয়াত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হোসেনের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনসহ দোয়া করা হয়।

পরে মেয়র আতিকুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্যে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘আমরা একটি সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ঢাকা শহর গড়তে এসেছি। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। যে দেশে বঙ্গবন্ধুর মতো মহান নেতা জন্মগ্রহণ করেছিলেন সে দেশের রাজধানী অপরিচ্ছন্ন, আবর্জনাপূর্ণ হয়ে থাকতে পারে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি উপ-নির্বাচনের সময় ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখেছি- আমাদের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক ওপরে। আসুন আমরা সবাই মিলে জনগণের সেবক হই।’

মতবিনিময় সভায় সম্প্রসারিত এলাকার কাউন্সিলররা পুরাতন ওয়ার্ডগুলোতে যেসব নাগরিক সুবিধা প্রদান করা হয় তার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।

পুরনো ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা মেয়রের কাছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মশা, জলাবদ্ধতা, ফুটপাত দখলসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সব কাউন্সিলর মেয়রের প্রতিটি কথা নির্দেশ মনে করে একসঙ্গে কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

সমাপনী বক্তব্যে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে আমি ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করা শুরু করেছি। আমরা ওয়াসাকে সঙ্গে নিয়ে বর্ষার আগেই জলাবদ্ধতার সমাধান করব। পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি ফুটপাত থেকে সব প্রতিবন্ধকতা দূর হয়ে যাবে।’

মেয়র আরও বলেন, ড্রেনে মানুষ ময়লা-আবর্জনা ফেলে, এটা হতে দেয়া যায় না। প্রতিটি দোকানে ডিএনসিসি নির্ধারিত ডিজাইনের ওয়েস্ট বিন এবং দুটি করে ফুল বা গাছের চারা রাখা বাধ্যতামূলক করা হবে, অন্যথায় ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করা হবে না। তাছাড়া ছাদ-বাগান বা বাসার বেলকনিতে সবুজায়ন করা হলে কর রেয়াত সুবিধা দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে তিনি পানিশমেন্ট আন্ড রিওয়ার্ডের (পি অ্যান্ড আর) কথা বলেন। অর্থাৎ ভালোভাবে কাজ করলে পুরস্কার আর তার ব্যত্যয় ঘটলে শাস্তি। সবশেষে তিনি কাউন্সিলরদের সুন্দর ঢাকা গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল যুবায়ের সালেহীন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাকির হাসান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এএস/এমবিআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।