প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নদী দখল ও দূষণমুক্ত করবোই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৫৩ পিএম, ১৪ মার্চ ২০১৯

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের নদীগুলোকে দখল ও দূষণ মুক্ত করবই। একই সঙ্গে নদী ভাঙনের হাত থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষকে রক্ষা করতে সক্ষম হব। এ জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন ও নাগরিক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

এনামুল হক শামীম বলেন, ‘বাংলাদেশের অনেকগুলো নদী আছে, যেগুলো হত্যা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সে নদীগুলো বাঁচানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অতীতে কোনো সরকার নদী রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। শেখ হাসিনার সরকার নদী দখল মুক্ত করতে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে নৌ-পরিবহন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নদীগুলো দখল মুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকদের কাছে দখলকৃত নদীর তালিকা চাওয়া হয়েছে। দায়িত্ব গ্রহণের দুই মাসের মাথায় নড়িয়া, হাতিয়া, নাগরপুর, রাজবাড়ী, আনোয়ারাসহ কমপক্ষে ১০টি নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। সেখানে বর্ষার আগেই ভাঙন রোধে যা যা করণীয় তাই করা হচ্ছে।’

শামীম বলেন, ‘নদীগুলো দখল ও দূষণ মুক্ত করতে হলে সরকারের পাশাপাশি সামাজিক উদ্যোগ জরুরি। যারা নদী দখল করে তারা সংশ্লিষ্ট এলাকারই মানুষ। নদী পাড়ে যারা বসবাস করেন তাদের দখলদারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আমরা যখন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করি তখন সহায়তা করতে হবে। নদী দখলদারদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘নদীর পানিকে দূষণ করবেন না। নদী মরলে বাংলাদেশ মরবে, দেশের মানুষ মরবে। নদীর পানিতে বর্জ্য পদার্থ ফেলবেন না। পানি দূষিত করবেন না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা নদীকে দখলমুক্ত ও দূষণমুক্ত করে সুপেয় করবই ইনশাআল্লাহ।’

হাজি মো. মাসুদ খানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেন শাহাদৎ, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

এইউএ/এনডিএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।