রোহিঙ্গারা কোথায় থাকবে, তা বাংলাদেশের নিজস্ব ব্যাপার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০৬ পিএম, ১৩ মার্চ ২০১৯

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে সরিয়ে নেয়ার পরকিল্পনায় জাতিসংঘের উদ্বেগের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, রোহিঙ্গারা কোথায় থাকবে, তা বাংলাদেশের নিজস্ব ব্যাপার।

বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির প্রথম সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে ব্যবস্থা নিয়েছেন সেটাকে যতটা ত্বরান্বিত করে আমরা সেখানে স্থানান্তর করতে পারি সেই বিষয়ে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে।’

ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের বিষয়ে জাতিসংঘ উদ্বেগ জানিয়েছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘যাদের আমরা আশ্রয় দিয়েছি, সরকারের দায়িত্ব তাদের নিরাপত্তা দেয়া, খাবার দেয়া, অর্থাৎ লজিস্টিক সাপোর্টগুলো দেয়া। সেখানে আমরা কোথায় রাখব, ভাসানচরে, না চট্টগ্রামে, এটা তো বিদেশের কনসার্ন হওয়ার কথা নয়।’

rohingha

তিনি বলেন, ‘তাদের কনসার্ন (উদ্বেগের বিষয়) হওয়া উচিত তারা (রোহিঙ্গারা) যাতে মানবেতর জীবনযাপন না করে, যাতে সুষ্ঠু লেখাপড়ার সুযোগ আছে পায়, চিকিৎসার সুযোগ আছে কি না, টয়লেট ফ্যাসিলিটি আছে কি না- এ সব জিনিস দেখা। সে বিষয়ে যদি তাদের কনসার্ন থাকে, নিশ্চয়ই সরকার সেটা বিবেচনায় নেবে। কিন্তু কোথায় থাকবে, সেটা বাংলাদেশের নিজস্ব ব্যাপার। সেটা ওনাদের ব্যাপার নয়।’

আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেয়া সম্ভব হবে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করছে, সেখানে আমাদের প্রস্তুতিও সম্পন্ন। পুনর্বাসন করতে হলে সেখানে তো ঘর-দুয়ার ফ্যাসিলিটিগুলো তৈরি করতে হবে। আমরা যেগুলো তৈরি করেছি, আরও তৈরি করতে হবে। আমরা যে কোনো সময়ই নিতে পারি, সে ব্যাপারে আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অত্যন্ত দক্ষতার সাথে, সচেতনতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে, আমরা খুব সন্তোষ প্রকাশ করছি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে।’

rohingha

এখনও ইয়াবা আসছে- এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি বলেন, ‘যারা আনে তারা খারাপ মানুষ, তারা আনবেই, চেষ্টা করবেই। আমাদের দায়িত্ব হলো- সাধ্যমতো চেক দেয়া। আপনারা উদ্ধার কাজটি যদি পর্যালোচনা করেন- কী পরিমাণ ধরা পড়ছে, উদ্ধার হচ্ছে, এতে আমার মনে হয় আপনারা সন্তুষ্ট হবেন যে, তারা তাদের চেষ্টা করছে। চেষ্টা অব্যাহত আছে।’

‘সন্তোষজনক সফলতা বিজিবি ও কোস্টগার্ড দেখিয়েছে। আরও তৎপর হওয়ার জন্য আমরা নির্দেশ দিয়েছি।’

সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনসহ কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরএমএম/জেডএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।