ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা আবার বেড়েছে


প্রকাশিত: ১১:৪০ এএম, ২৯ আগস্ট ২০১৫

রাজধানীতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা আবার বেড়েছে। বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৭০ জন। এর মধ্যে ১৬ জন সরকারি হাসপাতালে ও ৫৪ জন বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুসারে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩০ জন। গত দেড়মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে একই রোগে আক্রান্ত হয়ে এক শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়।

মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহমুদুর রহমান শনিবার দুপুরে জাগো নিউজকে জানান, কয়েকদিন ধরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তবে এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

তিনি বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রজনন মৌসুম চলছে। থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকছে। তাই বাড়ি বা বাড়ির আঙিনার কোথাও যেন অপরিষ্কার পানি জমে না থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। আগামী মাস নাগাদ ডেঙ্গুর প্রকোপ হ্রাস পেতে পারে।

জানা গেছে, সম্প্র্রতি আইইডিসিআর থেকে ২৩টি টিম সরেজমিনে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল পরিদর্শন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর প্রকৃত সংখ্যা বের করেন। জ্বরে আক্রান্ত কোনো রোগীর প্রকৃতপক্ষেই ডেঙ্গু হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে কী করতে হবে সে সম্পর্কে পরামর্শ দেয়া হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের ন্যাশনাল হেলথ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাহবুব হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে মোট ৭৫৯জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ইতিমধ্যে ৬৮৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৭০ জন।

ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের মধ্যে ঢামেক হাসপাতালে ৪ জন, মিটফোর্ডে ১ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দীতে ৬ জন, হলিফ্যামিলিতে ২ জন, মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ৩ জন, বাংলাদেশ মেডিকেলে ৬ জন, ইবনে সিনায় ৫ জন, ইউনাইটেডে ১০ জন, সেন্ট্রালে ৫ জন, স্কয়ারে ১০ জন, ল্যাব এইডে ১, খিদমাহে ৪ জন, অ্যাপোলোতে ১১ ও সালাউদ্দিনে ২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।

এমইউ/একে/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।