কড়াইল বস্তিতে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৩ এএম, ০৯ মার্চ ২০১৯
কড়াইল বস্তিতে মাঝে মাঝেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে

রাজধানীর বনানীর কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট কাজ করে সকাল সাতটার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাসেল শিকদার জানান, ৭টা ৫৫ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ হয়েছে।

তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি তারা।

রাজধানীর বনানীর কড়াইল বস্তি। প্রায় প্রতি বছরই এ বস্তির বাসিন্দাদের জন্য আসে একটি বিভীষিকার রাত। গত তিন বছরে কড়াইল বস্তিতে পাঁচবার আগুন লাগলো। আর এর চারবারই লেগেছে রাতে।

শনিবার ভোর সাড়ে ছয়টার অগ্নিকাণ্ডটি সর্বশেষ আগুনের ঘটনা। তার আগে ২০১৭ সালের ১৬ মার্চ রাত ৩টায় আগুন লাগে এই বস্তিতে। সেসময় ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট রাতভর চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এর আগে ২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বরে দুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় প্রায় পাঁচশ’র বেশি ঘর। গৃহহীন হয় সহস্রাধিক মানুষ। একই বছরের ১৪ মার্চ আগুনে পুড়ে বস্তির অর্ধশত ঘর। আগুনের সময় ছুটোছুটিতে আহত হন দু'জন।

স্থানীয় ও বস্তিবাসীরা জানান, গুলশান লেকের দুই তীরে দেড়শ একরের বেশি জমির ওপর বিশাল এলাকা নিয়ে এই বস্তিতে কয়েক লাখ লোকের বসবাস। ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশান-বনানীর বুকের মধ্যে গড়ে ওঠা এই বস্তি পোশাক শ্রমিক, রিকশাচালকসহ ঢাকার নিম্ন আয়ের বহু মানুষের ঠিকানা।

বস্তির জমির মূল মালিক বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। তারা আদালতের আদেশ নিয়ে ২০১২ সালে কড়াইলে জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা শুরু করে। প্রথম দিনের অভিযানে ৪০০টি ঘর উচ্ছেদ করা গেলেও দ্বিতীয় দিন হাজার হাজার বস্তিবাসী গুলশান-মহাখালী এলাকার সড়কে নেমে ওই এলাকা কার্যত অচল করে দেয়। পরে আর তাদের উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি।

বস্তিবাসীর ধারণা, পরিকল্পিতভাবে বারবার আগুন দেয়া হয় তাদের বস্তিতে।

জেইউ/এসএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।