সত্য কেউ মুছে ফেলতে পারে না : ৭ মার্চ বিষয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:১১ এএম, ০৮ মার্চ ২০১৯
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ৭ মার্চের ভাষণ বাজানো নিষিদ্ধ করেছিল যারা, তারা কত অন্ধকার যুগে বাস করতো তা আজ প্রমাণ হয়েছে। তারা এ ভাষণের মূল্য বুঝতে পারেনি, এটা যে দেশের জন্য কত মূল্যবান সম্পদ তা বুঝতে পারেনি। কিন্তু ইতিহাসকে কেউ মুছে ফেলতে পারে না। সত্যকে কোনোদিন বেশিদিন ঢেকে রাখা যায় না, সেটিও আজ প্রমাণিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে সংসদের বৈঠকে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে এক অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও পয়েন্ট অব অর্ডারে অনির্ধারিত এই আলোচনায় সরকার, বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এবং ঐক্যফ্রন্টের একজনসহ মোট ১১ জন অংশ নেন।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাংলাদেশের সম্পত্তি নয়, সারাবিশ্বের মূল্যবান সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে। এই একটি মাত্র ভাষণে বঙ্গবন্ধু শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাই নয়, যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণেরও নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন। ভাষণটি আজ বিশ্বের প্রমাণ্য দলিলে স্থান পেয়েছে, গোটা বিশ্বের মানব সভ্যতার অমূল্য দলিল হিসেবে স্থান স্বীকৃতি পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর এমন কোনো ভাষণ নেই, যেটি ৪৮টি বছর ধরে সমান আবেদন নিয়ে মানুষ শুনছে, বাজছে। পৃথিবীর অনেক স্বীকৃত ভাষণ রয়েছে। সেগুলোর সবই হয় লিখিত কিংবা পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে বলা হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর পুরো ভাষণটি ছিল অলিখিত, মনের হৃদয় থেকে উচ্চারিত। অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে সশস্ত্রযুদ্ধে নামানো এবং সেই যুদ্ধে বিজয় হওয়ার ঘটনা সারাবিশ্বের মধ্যে বিরল।

শেখ হাসিনা বলেন, আড়াই বছরের আলোচিত ভাষণগুলো নিয়ে যুক্তরাজ্যের একজন গবেষক কাজ করেন। সেখানে বাছাই করে মাত্র ৪৪টি শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্থান পেয়েছে। যার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটি অন্যতম হিসেবে সেখানে স্থান পেয়েছে। ২০১৭ সালের ৩০ আগস্ট জাতিসংঘের ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক এই ভাষণটি বিশ্ব প্রমাণ্য দলিল হিসেবে স্থান পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক এ ভাষণের আবেদন কোনদিন ফুরবে না, যুগ যুগ ধরে দেশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে যাবে।

এইচএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।