পাট মেলায় পাওয়া যাচ্ছে ২৮০ রকমের পণ্য

ফজলুল হক শাওন
ফজলুল হক শাওন ফজলুল হক শাওন , বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৩:৪৬ পিএম, ০৭ মার্চ ২০১৯

জাতীয় পাট দিবস- ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে দুই দিনব্যাপী পাটপণ্যের মেলা শুরু হয়েছে। মেলায় পাটের তৈরি ফুল থেকে শুরু করে জুতা পর্যন্ত ২৮০ রকমের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে।

উদ্যোক্তারা জানান, পাটজাত পণ্যের উদ্যোক্তারা ২৮০ রকমের বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন করেছে যা মেলায় প্রদর্শনের পাশাপাশি বিক্রয় হচ্ছে।

Jut-Fair

‘সোনালি আঁশের সোনার দেশ, জাতির পিতার বাংলাদেশ’ এ স্লোগানে এবার জাতীয় পাট দিবস- ২০১৯ উদযাপন করা হচ্ছে। পাটের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মেলায় স্টল দিয়েছে। এসব স্টলে পাটের তৈরি জুতা, ব্যাগ, ছিকা, ভ্যানিটি ব্যাগ, ঢেউটিন, চেয়ার টেবিল, সোফা সেট, ট্রে, ক্যাপ, পাপোশ, চুড়ি, বালা, ঘোড়া, নৌকা, চিংড়ি, রুপচাঁদা মাছ, কুমির, হরিণ, স্কুল ব্যাগ, ফুলের টব, ব্লেজার, শাড়ি, থ্রি পিচ, মুজিব কোর্ট, ব্রিফ কেস, নোটবুক, ডায়েরিসহ নিত্য ব্যবহার্য সব পণ্যই পাওয়া যাচ্ছে।

বিজেএমসি, আকলান জুটেক্স, গোল্ডেন রোফ, জননী জুট প্রডাক্ট, সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ, ক্রিয়েশন প্রাইভেট, নকশী বাংলা, ইকো টেক্স, বেঙ্গল ব্রেইডেড বাগস, হ্যান্ড মেড বিডি, রাজশাহী নকশী ঘর, আকিজ জুট উইভিং মিলস, ভরসা ফাউন্ডেশন ও কে ফ্যাশনসহ ১০০ (একশত) প্রতিষ্ঠান তাদের নিজের তৈরি পণ্য নিয়ে মেলায় এসেছেন।

Jut-Fair

মেলায় কেনাকাটা করতে এসেছেন মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা রোকনুজ্জামান তালুকদার ও তার স্ত্রী লুৎফা সাহানা। তারা অনেক কিছু কিনেছেন মেলা থেকে।

এক প্রশ্নের জবাবে রোকনুজ্জামান তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, পাট মেলা শুরুর পর থেকে প্রতি বছরই মেলায় আসি। পাটের হ্যান্ডিক্রাফট আমার স্ত্রীর খুব পছন্দ। এ মেলায় যেসব পণ্য স্থান পেয়েছে তার সবগুলোই পরিবেশ সম্মত। সুতরাং এ মেলায় সবার আসা উচিৎ।

Jut-Fair

মেলা প্রসঙ্গে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী জাগো নিউজকে বলেন, সোনালি আঁশ পাটের সঙ্গে বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য জড়িত। পরিবেশবান্ধব ফসল হিসেবে পাটের গুরুত্ব বিবেচনায় এটি চাষে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং সোনালি আঁশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা তুলে ধরতেই এ মেলার আয়োজন করা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ মেলা শুধু বেচাকেনার জন্য নয়। এটা একটা মিলন মেলাও বলতে পারেন।

Jut-Fair

কথা হয় মেলায় স্টল নেয়া ‘কে ফ্যাশন’ এর মালিক কাওসারী পারভিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, মেলায় বেচাকেনার চেয়ে বেশি লাভ হয় যোগাযোগ করে। কারণ এ মেলার মাধ্যমেই এমন কিছু পার্টির সঙ্গে পরিচয় হয় যারা সারাবছর আমাদের কাছ থেকে পণ্য কিনে। এছাড়া বিভিন্ন প্রডাকশন হাউজের সঙ্গে পরিচয় হয়, যোগাযোগ বাড়ে। কে কী পণ্য তৈরি করছে তা জানা সম্ভব হয়। যারা অর্ডার করেন তাদের কাছ থেকেও নতুন নতুন আইডিয়া পাওয়া যায়।

এফএইচএস/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।