৭ই মার্চের ভাষণ ছিল মুক্তির নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০১ পিএম, ০৭ মার্চ ২০১৯

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল ২৪ বছরের পাকিস্তানি অত্যাচারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির সামগ্রিক নির্দেশনা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের এ ভাষণে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আসন্ন যুদ্ধের সকল প্রস্তুতির উল্লেখ ছিল। এই ভাষণে উজ্জীবিত হয়েই বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ভবিষ্যৎ উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন বলেই নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দিবে।' যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকারও আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। এই ভাষণে শুধু রাজনৈতিক স্বাধীনতা নয়, অর্থনৈতিক মুক্তির কথাও উল্লেখ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। কারণ তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া স্বাধীনতা পরিপূর্ণ হয় না।

মোজাম্মেল হক বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের কিছুকাল পরে কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্য ও তাদের দোসরদের ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধুকে খুন করা হয়। এ কারণে জাতিকে অর্থনৈতিকভাবে মুক্ত করে যেতে পারেননি তিনি। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে কাজ করে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত উন্নত দেশে পরিণত করতে পারলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ হবে।

বঙ্গবন্ধু একাডেমির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির মিজির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ, বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।

এইউএ/এমএসএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।