সংসদে আবেগাপ্লুত শেখ তন্ময়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২৯ পিএম, ০৬ মার্চ ২০১৯

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের নাম নিতে গিয়ে সংসদে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শেখ হেলাল উদ্দীনের ছেলে সংসদ সদস্য শেখ তন্ময় (বাগেরহাট-২)। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে তাদের নাম নিতে গিয়ে স্পিকারের কাছে দুঃখ প্রকাশও করেন।

বুধবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় সংসদের সভাপতিত্বে ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৪ বছর কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে ছিলেন। তিনি কোনো মহাদার্শনিক ছিলেন না, মহাপণ্ডিতও ছিলেন না। কিন্তু মহাদার্শনিক ও পণ্ডিতরাও যা করতে পারেননি তিনি তা করেছিলেন। যার প্রমাণ ৭ মার্চের ভাষণ, যা ইউনেস্কো থেকে স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি ১৫ আগস্ট কালরাতে নিহতদের নাম নেয়ার সময় আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন। তাদের নাম নিতেও পারছিলেন না তিনি।

তিনি বলেন, মাননীয় স্পিকার আমাকে ক্ষমাশীল দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি আবেগে আক্রান্ত।

আবেগ কাটিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এ প্রজন্মের সবচেয়ে বড় সমস্যা মাদক আর কর্মসংস্থান। কর্মসংস্থান নিয়ে বিভিন্ন সময় বলে আসা হয়, অনেকে অনেক জ্ঞানবুদ্ধি দিয়ে থাকেন টক শোতে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। তার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরে যখন তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ঘটতে যাচ্ছে সেই সময় ১ কোটি লোক মাদকে জড়িত। মাদকে আসক্ত হয়ে আছে তারা। যারা মাদকের ব্যবসা করে তাদের কোনোভাবেই নরমভাবে দেখলে হবে না। যারা সেবনকারী তারা তো আমাদেরই ভাই-বোন। আমাদের ইশতেহার অনুযায়ী মাদকসেবীদের সাধারণ জীবনে ফিরিয়ে আনতে সময় লাগবে।

জাপান বাংলাদেশ থেকে তরুণ নিতে আগ্রহী। কিন্তু ৫ কোটি তরুণের মধ্যে যদি ১ কোটি তরুণ মাদকাসক্ত হয় সেখানে আমাদের একটা পলিসি দরকার, মাস্টারপ্ল্যান দরকার এবং আইনের পরিবর্তন প্রয়োজন। আমরা আশা করি আমাদের সবাইকে নিয়েই যেন এই মাস্টারপ্ল্যানটা করা হয়। আমরা এতে কাজ করতে চাই।

এইচএস/এসএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।