প্রধানমন্ত্রীর পাটপাতার ‘প্রেসক্রিপশন’

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৩:৩৫ পিএম, ০৬ মার্চ ২০১৯

>> পাটপাতার নানা গুণাগুণ তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী
>> পাটখড়ির মাথায় পচা গাছের আঠা লাগিয়ে ফড়িং ধরতাম
>> এখনকার ছেলে-মেয়েরা তো সেসব খেলে না

পাটপাতার গুণাগুণ তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, পাটের পাতা, এটা কিন্তু ভালো একটা সবজি। আমরা পাটশাক খাই। এর উপকারটা কী? পাটশাক খেলে পেট ভালো থাকে। পাটশাকে আয়রন বেশি, ডায়রিয়া, ডিসেন্ট্রি ও জ্বর থেকে শুরু করে নানা ধরনের রোগের প্রতিষেধক পাটপাতা। এখন অবশ্য পাটের পাতা থেকে চা উৎপাদন করা হয়েছে। এটা (চা) শরীরের জন্য খুব ভালো।

বুধবার সকালে পাট দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) পাট দিবসের মূল অনুষ্ঠান এবং ৬-৭ মার্চ দুই দিনব্যাপী পাটপণ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন ‘প্রেসক্রিপশন’ দেন তিনি। বক্তব্য শেষে তিনি পাট মেলার উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাটের পাতায় সার হয়। পাট চাষের পরে যে ধান লাগানো হয় সে ধান কিন্তু ভালো হয়। পাটের পাতা থেকে হারবাল মেডিসিন ও প্রশাধনী সামগ্রী তৈরি হচ্ছে। সুতরাং পাটের পাতার গুণের শেষ নেই।

PM-pat-1

তিনি বলেন, পাটের কোনো কিছুই ফেলনা নয়। পাটকাঠি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া পাটখড়ি এখন চারকোল (কার্বন পাউডার) হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। ঘরের বেড়া তৈরিতে পাট ব্যবহার হয়। পাটখড়ি থেকে হাডবোর্ড হচ্ছে। তা দিয়ে দরজা হচ্ছে।

ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ছোটবেলায় আমরা পাটখড়ির মাথায় পচা গাছের আঠা লাগিয়ে ফড়িং ধরতাম। এছাড়া পাটখড়ি ছোট ছোট টুকরা করে একসঙ্গে ফেলে আরেকটা কাঠি দিয়ে তুলে নিতাম। এখনকার ছেলে-মেয়েরা তো সেসব খেলে না।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে থিম সঙ প্রচার করা হয়। এরপর পাটের ওপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম এমপি।

এফএইচএস/জেডএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।