বেবিচক ও ইলিয়াস কাঞ্চনের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য
পিস্তল সঙ্গে নিয়ে গত মঙ্গলবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্ক্যানিং মেশিন পার হন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। বৈধ পিস্তলের ক্ষেত্রে নিয়মানুযায়ী বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র নিতে হয়। কিন্তু তা না করে ভুলবশত ছাড়পত্র ছাড়াই বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, ঘোষণা ছাড়া বিমানবন্দরে পিস্তল নিয়ে প্রবেশের অপরাধে, সিভিল এভিয়েশন ইলিয়াস কাঞ্চনকে গ্রেফতার করতে পারতো। যেহেতু তিনি (ইলিয়াস কাঞ্চন) দেশের একজন সম্মানী ব্যক্তি, তাই তাকে পিস্তল বহনের নিয়মগুলো ব্রিফ করে ছেড়ে দেয়া হয়।
তবে ইলিয়াস কাঞ্চন বলছেন ভিন্ন কথা। মঙ্গলবার বিকেলে নভোএয়ারের ভিকিউ-৯০৯ ফ্লাইটে শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে চট্টগ্রামে যাচ্ছিলেন তিনি। তার ব্যাগে থাকা লাইসেন্স করা পিস্তলটি বাসায় রেখে আসতে ভুলে যান। এরই মধ্যে বিমানবন্দরের প্রবেশ গেটে ব্যাগটি তল্লাশি করা হয়। নভোএয়ারের বোর্ডিং কাউন্টারে এসে ব্যাগে থাকা পিস্তলের কথা মনে পড়ে ইলিয়াস কাঞ্চনের। স্ক্যানিং মেশিনে পিস্তল ধরা না পড়ায় তিনি অবাক হন। পরে এ ব্যাপারে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তাৎক্ষণিক শাহজালাল কর্তৃপক্ষ তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বলেও জানান তিনি।
নভোএয়ারের বুকিং কাউন্টারে গিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, ৯ এমএম পিস্তল আর ১০ রাউন্ড গুলি ভুলবশত সঙ্গে নিয়ে এসেছেন তিনি। বিমানবন্দরে দুই দফা ব্যাগ ও দেহ তল্লাশি করা হলেও পিস্তলটা শো করেনি।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন বলেন, বিমানবন্দরের প্রবেশ পথে যে তল্লাশি হয়, সেটি খুব জোরালো নয়। তাই বলে বিষয়টি গুরুত্বহীনও না। মেটালজাতীয় কিছু থাকলে তা অবশ্যই ধরা পড়ার কথা। ইলিয়াস কাঞ্চনের পিস্তলের স্ক্যানিং বিষয়ে তদন্তের পর বলা যাবে। আগ বাড়িয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ আল ফারুক জড়িতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া দুবাইগামী বিজি-১৪৭ ফ্লাইটে খেলনা পিস্তল নিয়ে উঠে বিমান ‘ছিনতাইয়ের’ চেষ্টা করেন পলাশ আহমেদ নামে এক যুবক।
আরএম/এমএসএইচ/এমএস