আমি পাট নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী : প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১২:৩২ পিএম, ০৬ মার্চ ২০১৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাট নিয়ে যারা হতাশ, সেই হতাশা পার্টির সঙ্গে তিনি নেই। পাট নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী তিনি। যে পণ্যটির কোনো অংশ ফেলনা নয়, সে পণ্যে লোকসান হয় কেমন করে?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটাকে কীভাবে লাভজনক করা যায় সে পথ খুঁজে বের করতে হবে। পাট কৃষিপণ্য হিসেবে প্রণোদনা পেতে পারে। আবার পাটজাত পণ্য রফতানিযোগ্য বলে সেখানেও প্রণোদনা পেতে পারে।

জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে আজ (৬মার্চ) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) দুই দিনব্যাপী পাটপণ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বক্তব্য শেষে তিনি দুই দিনব্যাপী পাট মেলা উদ্বোধন করেন।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে থিম সঙ প্রচার করা হয়। এরপর পাটের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম এমপি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের মানুষ এখন পরিবেশ সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন। এটা আমাদের জন্য দারুণ একটা সুযোগ। এ সুযোগে পরিবেশবান্ধব পাটপণ্য আমরা সারাবিশ্বে রফতানি করতে পারব। পাট চাষী, পাট ব্যবসায়ী ও পাট শিল্পের যারা হতাশ ছিলেন তারা এখন সুদিন ফিরে পেয়েছেন। কারণ সোনালি আঁশের সোনালি দিন এখন ফিরে আসছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাটশিল্প বিকাশের স্বার্থে দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও পরিবেশবান্ধব পাটজাত পণ্যের চাহিদা সৃষ্টিতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে পাট চাষীদের পাটের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে এবং পাট ও পাটজাত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ এবং পাটখাতের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধি লাভ করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাটের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এ দেশের সংস্কৃতি ও কৃষ্টির সঙ্গে মানানসই পাট ও পাটজাত পণ্য দেশে যেমন গুরুত্বের দাবিদার, তেমনি বিশ্ব বাজারেও এটি একটি অনন্য পরিবেশবান্ধব পণ্য হিসেবে সমাদৃত।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয় পাটকলের আধুনিকায়নসহ পাটখাতের অতীত গৌরব ফিরিয়ে আনতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির জন্য ইতোমধ্যে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ এবং ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বিধিমালা-২০১৩’ কার্যকর করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাটজাত পণ্যের বহুমুখীকরণের জন্য পাট পাতা থেকে পানীয়, পাটের আঁশ থেকে ভিসকস ও পচনশীল পরিবেশবান্ধব সোনালি ব্যাগ, জিও জুট টেক্সটাইল, পাটকাঠি থেকে চারকোলসহ ২৫০ প্রকারের পাটজাত পণ্য উদ্ভাবন ও বাজারজাতকরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

এফএইচএস/এমএমজেড/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।