প্রিজন ভ্যান ভাঙচুরে জবি শিক্ষার্থীদের নামে মামলা
পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যানে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের নামে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর তাঁতীবাজার এলাকায় বংশাল থানার সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার পর রাতেই সূত্রাপুর থানায় মামলা করা হয়। এজাহারে অজ্ঞাত ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মিরপুরগামী অনির্বাণ, উত্তরণ এবং গাজীপুরগামী উল্কা-২ বাস মঙ্গলবার বিকেলে বংশাল থানার সামনে তাঁতীবাজার মোড়ে সিগনালে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ফয়সাল উত্তরণ বাস থেকে নেমে রাস্তার পাশের একটি দোকানে যায়। সিগনাল ছেড়ে দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস তাকে রেখেই চলে যায়। এ সময় ফয়সাল মিরপুরগামী উত্তরণ বাস ধরতে আসামি বহন করা পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যানের উঠে পড়ে।
প্রিজন ভ্যানে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে নেমে যেতে বলে এবং পরে লাথি মেরে নিচে ফেলে দেয়। ফয়সাল রাস্তার মধ্যে পড়ে গেলে সামনে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি বাসের শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে প্রিজন ভ্যান ভাঙচুর শুরু করে। এতে প্রিজন ভ্যানের সামনের গ্লাস ভেঙে যায়।
প্রিজন ভ্যানটিতে ৫২ জন আসামি ছিলেন। শিক্ষার্থীদের হামলায় প্রিজন ভ্যানের চালকসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহত চালককে ন্যাশনাল মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রিজন ভ্যানে ওঠা শিক্ষার্থী ফয়সাল বলেন, ‘উত্তরণ বাস ধরার জন্য আমি ভুল করে পুলিশ ভ্যানে উঠেছিলাম। পুলিশ আমাকে লাথি মেরে নিচে ফেলে দেয়।’
সূত্রাপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মওদুদ হাওলাদার বুধবার জাগো নিউজকে জানান, এ ঘটনায় রাতেই প্রিজন ভ্যানে থাকা পুলিশ সদস্য বাদী হয়ে সূত্রাপুর থানায় মামলা করেছে। এজাহারে অজ্ঞাত ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা, সরকারি সম্পদ বিনষ্ট, রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা প্রদানের ধারা যুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান ইন্সপেক্টর মওদুদ হাওলাদার।
এআর/এনডিএস/জেআইএম