মেগা প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে সংসদে অসন্তোষ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:২০ এএম, ০৪ মার্চ ২০১৯

বর্তমান সরকারের বড় বড় প্রকল্পে ধীরগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেছেন, বড় প্রকল্পের ছোট অগ্রগতি। প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বাড়লেও অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য নয়।

রোববার (৩ মার্চ) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি কয়েকটি প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, পদ্মাসেতু প্রকল্পের প্রকল্পে ব্যয় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। কিন্তু এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ২৮ কোটি টাকা। এ বছরে ব্যয় করতে হবে চার হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। তবে এ প্রকল্পের অগ্রগতি মাত্র ৫২ শতাংশ। পরের প্রকল্প মেট্রোরেল। এ প্রকল্পের ব্যয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি। এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে দুই হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা। অগ্রগতি মাত্র ১৩ শতাংশ। মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের ব্যয় ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি, এ পর্যন্ত চার হাজার ৯৫২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এ বছর খরচ করতে হবে দুই হাজার ১৭১ কোটি টাকা। এ প্রকল্পের অগ্রগতি মাত্র ১৪ শতাংশ। চট্টগ্রাম-কক্সবাহজার রেল প্রকল্পের ব্যয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি, এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে দুই হাজার ৯৫২ কোটি, অগ্রগতি মাত্র ১২ শতাংশ এবং রূপপুর পারমানবিক কেন্দ্রের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৯৩ কোটি টাকা, এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে মাত্র ছয় হাজার ৪৭ কোটি টাকা। এ বছরেই ব্যয় করতে হবে ১১ হাজার ৯৯ কোটি টাকা। এসব মেগা প্রকল্প ধীর গতিতে চলছে, যাদের সময় ও বাজেট আরও বৃদ্ধি করতে সরকার বাধ্য হবে এবং প্রকল্পে দুর্নীতি হবে বলে তিনি জানান।

এ ছাড়া তিনি ব্যাংক লুটপাটের তথ্যও তুলে ধরেন। ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নানা ত্রুটি তুলে ধরে বলেন, ব্যাংক খাতকে যদি অর্থনীতির হৃদপিণ্ড মনে করি তাহলে সেখানে রক্তক্ষরণ ঘটছে অনেক দিন ধরে। দেশে ৫৯টি ব্যাংক কার্যকর রয়েছে। এরমধ্যে ৪১টি বেসরকারি এবং ৯টি সরকারি ও ৯টি বিদেশি ব্যাংক। গত সেপ্টেম্বরের হিসেবে রাষ্ট্রখাতের ৯ ব্যাংকে ঋণ খেলাপির পরিমাণ ছিল ৪৯ হাজার ৪৭৪ কোটি। আর বেসরকারি ও বেদিশে ৫০ ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪৯ হাজার ৯৭৬ কোটি। মোট ৯৯ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। কিন্তু এ খাতে দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধে তেমন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

এ সময় সরকারের তরফে ১৩৪৭ টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, সময় যতটা বেড়েছে কাঙ্ক্ষিত সুবিধার পরিমাণ ততটা বাড়েনি। অযথা অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো ও কালক্ষেপণে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এইচএস/এএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।