দুর্নীতির তদন্তে কার্যপদ্ধতির সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:১৭ পিএম, ০৩ মার্চ ২০১৯

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, যে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা মানে তার সামাজিক স্বাধীনতা হরণ করা। মামলা করার পূর্বে অভিযোগের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাইয়ের জন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন, রিপোর্টে স্কেচ ম্যাপ সংযোজন, দালিলিক প্রমাণাদি এবং সাক্ষ্য সংগ্রহ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রোববার (৩ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের কর্মকর্তাদের ভূমি ব্যবস্থাপনা শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধান বা তদন্ত করছেন ধরে নিতে হবে তিনি নির্দোষ, তবে অভিযোগের পক্ষে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলেই তাকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বলে মনে করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের কাজ করা চাকরি ভাবলে হবে না, এটা একটা মিশন। গতানুগতিক চাকরি আর কমিশনে চাকরির মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। আপনাদের আচরণে, কর্মে এবং সমাজে বিচরণে সততা, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে হবে।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশনের প্রতিটি কর্মীর কর্মের সমন্বিত ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে কমিশনের সাফল্য ও ব্যর্থতা। ভূমি ব্যবস্থাপনায় খাসজমি ব্যবস্থাপনা, রেলওয়ে বিভাগের সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর এবং গণপূর্ত অধিদফতরের অধিগ্রহণকৃত সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সম্পত্তি অধিগ্রহণ এবং অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে নানাবিধ দুর্নীতির অভিযোগ কমিশনে আসে।

এসব অভিযোগ তদন্তে ঢালাওভাবে তথ্য-উপাত্ত চাওয়া কিংবা ঢালাওভাবে অভিযুক্ত করার কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সবকিছু হতে হবে সুনির্দিষ্ট, দালিলিক তথ্যভিত্তিক এবং ভূমি-সংক্রান্ত সব আইনের সমন্বয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে দুদকের মহাপরচিালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। কমিশনের বিভিন্ন পদমর্যাদার ৩০ কর্মকর্তা এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন।

এমইউ/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।