‘সবার জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২২ পিএম, ০৩ মার্চ ২০১৯

গৃহায়ন ও পূর্ত মন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম বলেছেন, তৃণমূল, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সবার জন্য আবাসন-ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য বর্তমান সরকার কাজ করছে। আমরা এ বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সেই অনুযায়ী কাজ করছি।

রোববার রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের ‘এ’ ব্লকের ‘ফ্ল্যাট আইডি প্রদান-সংক্রান্ত তৃতীয় লটারি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, সরকারি উদ্যোগে আবাসন ব্যবস্থা চালু করা হবে। বস্তিবাসী, নিম্ন আয়ের মানুষ, সচ্ছল মানুষ সবার জন্যই আবাসন ব্যবস্থার লক্ষ্যে আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছি। সেই আবাসন হতে হবে পরিবেশবান্ধব।

মন্ত্রী বলেন, রাজউকের সকল সেবা আগামীতে সম্পন্ন অনলাইনের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। রাজউক তাদের নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও কাজ করে যাচ্ছে। তবুও বলবো, রাজউকে এসে কেউ যদি হয়রারির শিকার হন তাহলে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ জানান, আমরা ব্যবস্থা নেবো। আমরা আশা করছি আগামীতে রাজউক হবে আরও জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান।

সভাপতির বক্তব্যে রাজউকের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বলেন, ব্যাপক স্বচ্ছতার মাধ্যমে আজকের উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের ‘এ’ ব্লকের ফ্ল্যাট আইডি প্রদান-সংক্রান্ত তৃতীয় লটারি অনুষ্ঠিত হয়। আপনাদের জন্য ফ্ল্যাটে বসবাস করার জন্য সব ধরনের সুবিধা প্রস্তুত আছে।

বিদ্যুৎ,গ্যাস,পানিসহ সব সুবিধা পাবেন আপনারা। পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য আনসার সদস্যরা সেখানে নিয়োজিত রয়েছেন। এ ছাড়া সেখান থেকে যাতায়াতের জন্য ইতোমধ্যে বিআরটিসি বাস চালু করা হয়েছে।

এর আগে লটারি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে গত ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যারা ফ্ল্যাটের ৪র্থ কিস্তির টাকা পরিশোধ করেছেন তাদের লটারির মাধ্যমে ফ্ল্যাটের আইডি প্রদান করা হয়। দ্বৈবচয়ন পদ্ধতিতে ফ্ল্যাটের আইডি পাওয়া ৭৯৭ জনের তালিকা ইতোমধ্যে রাজউকের ওয়েবসাইটে পিডিএফ আকারে পাওয়া যাচ্ছে।

উত্তরা এপার্টমেন্ট প্রকল্পের ‘এ’ ব্লকে প্রায় ৮৭ একর জমিতে ৭৯টি ১৬ তলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৭৩টি ভবনে ৬১৩২ ফ্ল্যাটের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট ৬টি ভবনে ৫০৪টি ফ্ল্যাটের নির্মাণকাজ চলমান।

রাজউক সূত্রে জানা গেছে, ৬৬৩৬টি ফ্ল্যাটের মধ্যে এ পর্যন্ত ৫৫৪১টি ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ১ম ও ২য় পর্যায়ে অর্থাৎ ২০১২ ও ২০১৪ সালে বরাদ্দকৃত ৪৭৮৯টি ফ্ল্যাট প্রতি বর্গফুট ৩৫০০ টাকা দরে এবং পরবর্তীতে ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত বরাদ্দকৃত ৭৫২টি ফ্ল্যাট প্রতি বর্গফুট ৪৮০০ টাকা দরে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

এর আগে ২০১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ১ম লটারির মাধ্যমে ৮৩৭ জনকে এবং গত ৭ জনুয়ারি ২য় লটারির মাধ্যমে ২৬৬১ জনকে ফ্ল্যাটের আইডি প্রদান করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ (রোববার) ৭৯৭ জনকে (যারা ফ্ল্যাটের ৪র্থ কিস্তির টাকা পরিশোধ করেছেন) লটারির মাধ্যমে ফ্ল্যাটের আইডি প্রদান করা হলো। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৪২৫৫টি ফ্ল্যাটের আইডি প্রদান শেষ হলো।

বরাদ্দযোগ্য ১০৯৫টি ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আবেদনের ফরম বিক্রি ও জমা দেয়ার সময়সীমা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারণ করা আছে। ফ্ল্যাট বরাদ্দের জন্য ইতোমধ্যে ৮০টি আবেদন পড়েছে, যা বরাদ্দের জন্য প্রক্রিয়াধীন।

এএস/এনএফ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।