গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি কার স্বার্থে?
গণশুনানির নামে গ্যাসের দাম বাড়ানোর চক্রান্ত বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে প্রতিবাদী নাগরিক সমাজ। পাশাপাশি আবাসিক গ্রাহকদের চুলায় নিয়মমতো গ্যাস সরবরাহ ও সারাদেশে ন্যায্যমূল্য নিরাপদ গ্যাস সিলিন্ডার দেয়ারও দাবি জানান তারা। সেই সঙ্গে জানতে চাওয়া হয়, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি কার স্বার্থে?
শনিবার (২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদী নাগরিক সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত অবস্থান সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘দেশের জনগণকে গ্যাস থেকে বঞ্চিত করবেন না। যারা রান্না করে তারা জানে কেমন গ্যাসের কী সংকট। সরকারের উচিত সংকট দূর করার। কিন্তু তা না করে আবারও গ্যাসের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য ১১ মার্চ গণশুনানির আয়োজন করা হয়েছে। গ্যাসের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা বন্ধ না করলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
বক্তারা বলেন, দেশের মানুষ যতটুকু গ্যাস ব্যবহার করে তার ডাবল দাম দিয়ে থাকেন। মানুষ গ্যাস দিয়ে রান্না করতে পারে না কিন্তু দাম ঠিকই দিতে হয়। এ ছাড়াও সারাদেশে সিলিন্ডার ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ থাকায় জেলায়-উপজেলায় বেশি দামে গ্যাস কিনতে বাধ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এসব বিষয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন শুধু জনগণের পকেট কাটে।
এ সময় আয়োজকদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু দাবি জানানো হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-গণশুনানির নামে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা বন্ধ করতে হবে; বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্যদের মধ্যে অভিযুক্ত দুর্নীতিবাজ সব সদস্যকে অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে; আবাসিক গ্রাহকদের চুলায় নিয়মমতো গ্যাস ও সারাদেশে ন্যায্যমূল্যে নিরাপদ গ্যাস সিলিন্ডার দিতে হবে; গ্যাস খাতে দুর্নীতি অপচয় বন্ধ করতে হবে; শতভাগ মালিকানা নিশ্চিত করে স্থলে ও সমুদ্র বক্ষের গ্যাস উত্তোলনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং এলএনজি আমদানির নামে সাধারণ মানুষের পকেট কেটে ব্যবসায়ী কমিশনভোগীদের পকেট ভারী করার নীতি বন্ধ করতে হবে।
সৈয়দ আবুল মকসুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, নাগরিক আন্দোলনের নেতা শরিফ উদ্দিন শরীফ, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী প্রমুখ।
এএস/এনডিএস/এমকেএইচ