‘পুরুষই নারীমুক্তির পথপ্রদর্শক’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫৭ পিএম, ০২ মার্চ ২০১৯

‘নারীমুক্তির প্রধান বাধা যদি হয় পুরুষ, তাহলে নারী মুক্তির পথপ্রদর্শকও পুরুষ’ বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জিনাত আরা। শনিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস -২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি জিনাত আরা বলেন, জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীর সমান অধিকারের বিষয়টি সংবিধানের ১৯ এবং ২৮ অনুচ্ছেদে নিশ্চিত করা হয়েছে। সংবিধানের ২৮(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না এবং ২৯(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে, নারী পুরুষ সমান অধিকার লাভ করিবেন। এছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনে নারী সুরক্ষার বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে এবং নারী নিরাপত্তায় বিশেষ বিশেষ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান যুগ গণতান্ত্রিক যুগ, সমতার যুগ। উন্নয়নের গতিধারায় আজকে বাংলাদেশের নারীরা যেভাবে উৎপাদনের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে নিজেদের সমর্পণ করেছে তা যেমন সমৃদ্ধির নিয়ামক আবার তা অর্থনীতির অগ্রযাত্রারও চালিকা শক্তি। তারপরও নারীরা এখনও বিভিন্নভাবে নির্যাতন ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, নারীরা পরিবারের মধ্যে কর্মস্থলে, পরিবহন, যাতায়াত ব্যবস্থায় বিভিন্নভাবে নানা রকম হয়রানি ও যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। নারী দিবস উদযাপন করে এসব অবস্থার উন্নতি করা না গেলেও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে নারী নির্যাতন অনেক হ্রাস পেয়েছে।

woman

এ সময় ‘নারীমুক্তির প্রধান বাধা যদি হয় পুরুষ, তবে নারীমুক্তির পথপ্রদর্শকও পুরুষ’ বলে মন্তব্য করেন আপিল বিভাগের দ্বিতীয় এ নারী বিচারপতি।

বিচারপতি জিনাত আরা বলেন, বাংলাদেশে আজ সর্বত্র নারীর জয় জয়কার শুরু হয়েছে। শিক্ষা দীক্ষায় সাহসিকতায়, খেলাধুলায় সৃষ্টিশীল কাজে বাংলাদেশের নারীরা আজ সামন কাতারে। আমাদের নারীরা আজ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, শিক্ষা, সশস্ত্র বাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে উচ্চপদে সমাসীন।

নারীর ক্ষমতায়নে সর্বাগ্রে পুরুষ সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সকলেই যে যার অবস্থান থেকে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করি। নারীর অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক মুক্তির পথ সুগম হলেই শুধুমাত্র এ দিবস (নারী দিবস) তার স্বার্থকতা খুঁজে পাবে।

দক্ষিণ বাংলা নারী আইনজীবী পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দক্ষিণ বাংলা নারী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুরাইয়া বেগমের সভাপতিত্বে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ফারজানা ইসলাম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এফএইচ/আরএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।