অংশগ্রহণমূলক নয়, তাই ভোটার নেই : মাহবুব তালুকদার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৩২ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, ‘রাজনৈতিক পরিচয়ে মেয়রপদে নির্বাচন হচ্ছে। কিন্তু প্রধান বিরোধী দলগুলো এতে অংশ না নেয়ায় এটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নয়। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উৎসাহ দেখা যায় না।’

বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এর আগে রাজধানীর মগবাজারের ইস্পাহানি স্কুল ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন মাহবুব তালুকদার।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) সম্প্রসারিত অংশের ওয়ার্ডগুলোতে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনসহ কয়েকটি পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন/উপনির্বাচনের ভোট শুরু হয় সকাল ৮টায়।

এদিকে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা দাবি করেন, ‘ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার দায় রাজনৈতিক দলগুলোর। সিইসির এ বক্তব্য যথার্থ বলেও মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

‘নির্বাচন অপূর্ণাঙ্গ’উল্লেখ করে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের এ নির্বাচন অপূর্ণাঙ্গ। এ নির্বাচন পাঁচ বছর পরপর হবে। তবে এখন যারা নির্বাচিত হবেন, তারা মাত্র এক বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন। এ জন্যই আমি এটা অপূর্ণাঙ্গ নির্বাচন বলেছি।’

মগবাজারের ইস্পাহানি স্কুল ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার দলীয় মেয়র পদের পোলিং এজেন্ট ছাড়া আর কোনো প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট সেখানে ছিলেন না। সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত একই ইমারতে অবস্থিত পাঁচটি ভোটকেন্দ্রের ১৫টি বুথে মাত্র ৩৮৫ জন ভোট দিয়েছেন। অথচ পাঁচ কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ৪১৩ জন।’

মাহবুব তালুকদার আরও বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও আইনগত হতে হবে। কোনো প্রকার পক্ষপাতিত্ব বা শিথিলতা সহ্য করা হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোটারদের আসা-যাওয়ার পথে পূর্ণ নিরাপত্তা দেবেন। ভোটাররা নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী ভোট দেবেন। রাজনৈতিক অবস্থা যাই হোক না কেন, নির্বাচনী ব্যবস্থা যেন তাতে প্রভাবান্বিত না হয়-এটাই প্রত্যাশা।’

মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুর পর উত্তর সিটিতে মেয়রপদে উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। এতে দেশের বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অংশ নিয়ে চেয়েছিল। তবে সেই নির্বাচন এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে স্থগিত হয়ে যায়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এ সিটিতে উপনির্বাচন করা সম্ভব না হলেও প্রায় এক বছর পর ভোট হচ্ছে। আওয়ামী লীগ এ উপনির্বাচনে অংশ নিলেও অংশ নিচ্ছে না বিএনপি।

এতে দলীয় প্রতীকে মেয়র পদে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত আতিকুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির শাফিন আহমেদ, ন্যাশনাল পিপলসপার্টির আনিসুর রহমান দেওয়ান, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টির শাহীন খান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রহিম।

পিডি/এনডিএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।