মিরপুরে প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগে যুবক আটক
ঢাকার মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করার অভিযোগে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে মন্দিরে প্রার্থনা করতে গিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করার অভিযোগে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
মন্দিরের ভেতরে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৭টায় মন্দির খুলে পরিষ্কার করার সময় ২২ বছরের এক যুবক প্রবেশ করেন। এতো সকালে কেন এখানে এসেছেন -জানতে চাইলে জানায়, সে এইচএসসি পরীক্ষার্থ, তাই প্রার্থনা করতে এসেছেন। তার নাম মিঠুন চক্রবর্তী বলে পরিচয় দেয়।
সে প্রতিমার সামনে দাঁড়িয়ে প্রায় ১০ মিনিট প্রার্থনা করে। আশাপাশে কেউ না থাকায় ভেতরে গিয়ে প্রতিমা টেনে নীচে ফেলে দেয় এবং ভাঙচুর করে। প্রতিমা পড়ে যাওয়ার আওয়াজ শুনে ভেতরে থাকা পুরোহিতের সহকারী ও পরিচ্ছন্নকর্মী দৌড়ে গিয়ে যুবককে ধরে ফেলেন। পরে তাকে পুলিশে দেয়া হয়।
ওই মন্দিরে পুরোহিতের সহকারী অতিন্দ্র সরকার জাগো নিউজকে বলেন, আমরা প্রতিদিন সকাল ৬টায় মন্দির খুলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করি। আজও একই সময়ে মন্দির খুলে পরিষ্কার করতে থাকলে প্রার্থনা করতে এসে ওই যুবক প্রতিমা ভাঙচুর করে। এ সময় আমরা তাকে ধরে ফেলি।
তিনি আরও বলেন, প্রথমে এই যুবক মিঠুন চক্রবর্তী নামে নিজের পরিচয় দিলেও পরে সে জানায়, তার নাম রাশেদুল হাসান। মিরপুর ১১ নম্বর এভিনিউ এলাকায় তার বাসা। মিরপুর বিসিআইসি কলেজ থেকে গত বছর এইচএসসি পাস করেছে।
আটকের বিষয়টি স্বীকার করে মিরপুর মডেল থানার ওসি দাদন ফকির জাগো নিউজকে বলেন, মন্দিরের ভেতর প্রতিমা ভাঙচুর করায় এক যুবকে আটক করা হয়েছে। আটকের এক ঘণ্টা পর ডিবি পুলিশ এসে সেই ছেলেকে নিয়ে গেছে।
এদিকে মন্দিরের ভেতরে প্রতিমা ভাঙচুর করায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা পালন করা হয়েছে। সকালে মন্দিরের নেতৃবৃন্দ ও পূজারীরা সমাবেত হয়ে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার রায় জাগো নিউজকে বলেন, আজ ভোটের দিন বড় ধরনের ঘটনা ঘটাতে মন্দিরের এ প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। এর পেছনে বড় দুস্কৃতিকারীরা জড়িত রয়েছে।
পাশাপাশি এ ঘটনার বিচারের দাবিতে শুক্রবার (১ মার্চ) হিন্দু সম্পদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ পালন করা হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলীপি প্রদান করা হবে।
এমএইচএম/আরএস/এমএস