‘সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে’
দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অভূতপূর্ব অবদান রাখছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতেও মাতৃভূমির অখণ্ডতা রক্ষা তথা জাতীয় যেকোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ১০টায় চট্টগ্রামের হালিশহরে অর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গোলন্দাজ রেজিমেন্টের কালার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনী আত্মরক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানব সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলাসহ দেশের আর্থ-সামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক অনুমোদিত প্রতিরক্ষা নীতি ২০১৮-এর আলোকে সেনাবাহিনীর উন্নয়ন সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে আমরা বিশ্বাসী। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর কাঠামো বিন্যাস ও পরিবর্তনের পাশাপাশি আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া চলমান।
জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, অন্যান্য আর্মস এবং সার্ভিসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির দুর্বাব অগ্রযাত্রা অব্যাহত আছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে তিনটি আর্টিলারি ব্রিগেড, একটি এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি বিগ্রেড, তিনটি ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি বিগ্রেড, দু'টি এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি রেজিমেন্ট এবং একটি ডিভিশন লোকেটিং ব্যাটারি আর্টিলারি ও একটি মর্টার রেজিমেন্ট।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৮টি লং রেইঞ্জ এমএল আর এস (টাইপ বি), ২০টি ওয়ান ফিফটি ফাইভ গান সিস্টেম এবং ১০ পদাতিক ডিভিশনের নবগঠিত মর্টার রেজিমেন্টের জন্য ২০ ওয়ার টুয়েন্টি মিলিমিটার আধুনিক মর্টার ক্রয় করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
সেনাপ্রধান বলেন, এ সকল অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি সংযোজনের ফলে আমাদের সামরিক সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে এবং বিপুল সংখ্যক অফিসার, জেসিও এবং সৈনিকরা বৈদেশিক প্রশিক্ষণ লাভের সুযোগ লাভ করবেন।
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গোলন্দাজ রেজিমেন্টের ৪টি ইউনিটকে রেজিমেন্ট কালার প্রদান করা হয়েছে। এর আগে শুধুমাত্র পদাতিক ও সাঁজোয়া বাহিনী এবং বিভিন্ন সেন্টার ও স্কুলগুলোকে রেজিমেন্ট কালার প্রদান করা হতো।
রেজিমেন্ট কালার পাওয়া ইউনিটগুলো হলো- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১, ২, ৩ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি ও ৩৮ এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্ট আর্টিলারি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে রেজিমেন্ট কালার প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। এতে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর হায়দার। পরে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি প্রধানদের হাতে রেজিমেন্ট কালার প্রদান করেন।
আরএস/জেআইএম