কাজী জাফরের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমদের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে টঙ্গীর মিল গেইটে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল আটটা থেকে কাজী জাফরের মরদেহ স্থানীয় সর্বস্তরের লোকজন ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের জন্য সেখানে রাখা হয়।
এসময় মরহুম জাফরের প্রতি এলাকার সর্বস্তরের লোকজন শ্রদ্ধা জানাতে সমবেত হন। কাজী জাফর আহমদ ছাত্রজীবন শেষে শ্রমিক রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৬৭ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন। তাই যে টঙ্গীকে ঘিরে বহু আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কাজী জাফর শেষবারের মতো তার সেই চির চেনা ও স্মৃতি বিজড়িত স্থানেই তার প্রথম নামাজে জানাজা এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
জানাজায় স্থানীয় সাবেক সাংসদ হাসান উদ্দিনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সহকর্মী, সর্বস্তরের শ্রমিক ও এলাকার লোকজন অংশ নেন। সকাল নয়টায় মোবাইল ফোনে কাজী জাফরের একান্ত সহকারী গোলাম মোস্তফা এসব তথ্য জাগাে নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় নামাজের জানাজার জন্য স্যারের মরদেহ সেখানে নেওয়া হচ্ছে। বাদ জুমা তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বায়তুল মোকাররম মসজিদে।
এদিকে কাজী জাফরের দাফনের স্থান এখনো চুড়ান্ত হয়নি। তার মেয়ে রুনা আহমেদ অস্ট্রেলিয়া থেকে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তিনি দেশে ফেরার পরই পারিবারিকভাবে এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন গোলাম মোস্তফা।
উল্লেখ্য, কাজী জাফর বৃহস্পতিবার সকাল সাতটায় গুলশানের বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে ঢাকার ইউনাইটেড হসপিটালে ভর্তির পর সকাল সাড়ে সাতটায় ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দীর্ঘ দিন যাবৎ কাজী জাফর আহমদ কিডনির রোগ, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এর আগে অস্ট্রেলিয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার কিডনি ট্রান্সফার করা হয়েছিল। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ বহু আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন।
# কাজী জাফর আর নেই
# এক নজরে কাজী জাফর
# গুলশানের বাসায় কাজী জাফরের মরদেহ
# কাজী জাফরের প্রতি খালেদার শেষ শ্রদ্ধা
# কাজী জাফরের মরদেহ দেখতে গুলশানে খালেদা
মো. কামাল উদ্দিন/এমজেড