বিমান ছিনতাই চেষ্টা : কাউন্টার টেরোরিজমের তদন্ত শুরু
চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট ময়ূরপঙ্খী ছিনতাইয়ের অভিযোগে করা মামলার আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
এর আগে গতকাল সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিভিল এভিয়েশন বিভাগের প্রযুক্তি সহকারী দেবব্রত সরকার বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আজ মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের হাতে ন্যস্ত করা হয়। মামলাটি তদন্ত করছেন সংস্থাটির (সিএমপি ইউনিট) পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান উপ-কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনার তদন্তভার পেয়েছে নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। এমন ঘটনার তদন্ত আমাদের জন্য এবারই প্রথম।
পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তের শুরুতে আজ (মঙ্গলবার) সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ সময় তারা শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে ও ছিনতাই চেষ্টার বিমান ফ্লাইট ময়ুরপঙ্খীর ভেতরে পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া দুবাইগামী বিজি-১৪৭ ফ্লাইটটি অস্ত্রধারী পলাশ নামে এক যুবক ‘ছিনতাইয়ের’ চেষ্টা করে। পরে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে উড়োজাহাজটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করা হয়।
বিমান ‘ছিনতাই’ চেষ্টাকারী সন্দেহভাজন অস্ত্রধারীকে ধরতে কমান্ডো অভিযান চালানো হয়। পরে ওই অভিযানে গুলিতে মারা যান পলাশ। বিমানের ওই ফ্লাইটটিতে ১৩৪ জন যাত্রী ও ১৪ জন ক্রু ছিলেন।
আবু আজাদ/জেডএ/এমএস