এখন আমি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের মা : প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০১:৪৭ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি বাংলা সাহিত্যের ছাত্রী হলেও এখন আমি একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের মা। এ দেশে কম্পিউটারের ব্যবহার বাড়াতে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আমার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় আমাকে সহযোগিতা করেছে।

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এন আর বি ইঞ্জিনিয়ার্সদের দু’দিনব্যাপী কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেশে কম্পিউটারের ব্যবহার বাড়ানো প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ই আর ডি’র ভারপ্রাপ্ত সচিব মনোয়ার আহমেদ। এছাড়া অন্যদের মাঝে জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী ও কনভেনশনের আহ্বায়ক আজাদুল হক বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগ অফিসে একটি কম্পিউটার কিনেছিলাম, তখন ওই কম্পিউটারে খরচ পড়েছিল ৩ লাখ টাকা। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে কম্পিউটারের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে ১০ হাজার কম্পিউটার ক্রয়ের বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছিল। তারা অর্ধেক খরচে আমাদের কম্পিউটার দিতে চাইলেন। কিন্তু ইতোমধ্যে ক্ষমতার পরিবর্তন হলো।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার কাছে কে যেন বলেছে, এটা নেদারল্যান্ডসের টিউলিপ কোম্পানি থেকে কেনা। ওই কোম্পানি শেখ রেহানার মেয়ের নামে- এ কথা শুনে খালেদা জিয়া প্রকল্পটি বাতিল করে দেন। ফলে আমাদের অনেক অর্থও লোকসান হয়েছে। এছাড়া তারা (বিএনপি) সাবমেরিন ক্যাবলের সংযোগ থেকেও বাংলাদেশকে বঞ্চিত করেছে। প্রযুক্তি সম্পর্কে না জানার কারণে বাংলাদেশকে তারা বারবার পিছিয়ে দিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে কম্পিউটারের ওপর থেকে ট্যাক্স প্রত্যাহার করে এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। জেলা-উপজেলা এমনকি থানা-ইউনিয়ন পর্যন্ত ট্রেনিং দেয়া হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ এখন কম্পিউটারে চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করছে। এছাড়া আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে-মেয়েরাও এখন অর্থ উপার্জন করছে। বাংলাদেশ এখন হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, যারা একসময় অক্ষর চিনতো না মোবাইল ব্যবহারের ফলে অনেকে বাধ্য হয়ে অক্ষর শিখেছে, পড়াও শিখেছে। মোবাইলে বাংলায় মেসেজ এলে তারা পড়তে পারে। এভাবে দেশে অক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে। আমাদের এমন উদ্যোগের ফলেই একসময় টেবিলে সাজানো থাকা কম্পিউটারে কাজ শুরু হয়েছে। কম্পিউটার নিয়ে আমাদের ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে হাইটেক পার্ক করা হচ্ছে।

এফএইচএস/আরএস/পিআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।