আমি ওই প্লেনে ছিলাম না : সংসদে বাদল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:১৫ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বাংলাদেশ বিমান ছিনতাইয়ের সময় ওই ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন না বলে জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের (একাংশ) সভাপতি ও সংসদ সদস্য মইনুদ্দিন খান বাদল।

তিনি বলেন, পত্র-পত্রিকায় দেখলাম গতকাল রোববার ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় আমি প্লেনে ছিলাম। কিন্তু তখন ওই প্লেনে আমি ছিলাম না। আমি প্রথমেই ভুলটা ভাঙিয়ে দিতে চাই।

সোমবার রাতে সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে একথা বলেন তিনি। এর আগে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বিষয়টি নিয়ে সংসদে ৩০০ বিধিতে বিবৃতি দেন।

বাদল বলেন, ওইদিন চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর একটা অনুষ্ঠান ছিল। আমি সেই অনুষ্ঠানের পরে ওখানে (চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে) এসেছি ঢাকায় আসার জন্য। আমি বিমানবন্দরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখি লোকজন ছোটাছুটি করছে। জিজ্ঞাসা করলাম কী হয়েছে বললেন একটা প্লেন হাইজ্যাক হয়েছে। তারপর বললো হাইজ্যাকার আছে, বলতে বলতে প্লেনটা ল্যান্ড করে।

তিনি বলেন, এটা কাকতালীয় হবে। এই প্লেনটাতেই প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন। এই যখন হচ্ছে, তখন আমার সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংও ছিলেন। আমি বীরকে বললাম আমাদের নৈতিক দায়িত্ব একজন সংসদ সদস্য হিসেব বিষয়টি জানা।

সেজন্য আমি বিমানবন্দরের টার্কমার্কে (যেখানে প্লেন নামে) চলে গেলাম। যাই হোক আমি শেষ পর্যন্ত ওখানে উপস্থিত ছিলাম। নানা কাহিনি বিস্তার লাভ করেছে। মোদ্দা কথা হলো একজন অস্ত্রধারী প্লেনের পেছন থেকে এসে গালাগাল করছিল। পাইলটকে বলেছিল তুমি দরজা খুলে দাও, পাইলট খুলে নাই। কতগুলো পত্রিকায় দেখলাম পাইলটের সঙ্গে মল্লযুদ্ধ হয়েছে। কেউ কেউ বলছে তখন সে একটা গুলি করেছে। পাইলট কখনো দরজা খোলেনি। পাইলট তাকে ব্যস্ত রাখতে আলোচনা করার চেষ্টা করেছে। তখন পাইলটকে ওই ব্যক্তি বলেছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান। পাইলট তাকে বলেছে প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই কথা বলবেন কিন্তু একটু সময় লাগবে। অ্যাটিচুড ছিল ব্যস্ত রাখা; যাতে কোনো যাত্রীর ক্ষতি না করে।

তিনি বলেন, ক্যাপ্টেন শফিক অত্যন্ত দুরদর্শিতার সঙ্গে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় প্লেনটা চট্টগ্রামে ল্যান্ড করেন। ফ্লাইটের ক্রু তিনটা মেয়ে, দুইটা ছেলে, নিন্মি, হোসনেয়ারা, রুমা, সাগর, শাফুর। তারাই যাত্রীদের আশ্বস্ত করার জন্য ভূমিকা রেখেছে। তারা বিজনেস ক্লাস আর ইকোনমিক ক্লাসের পর্দা টেনে দিয়েছে। পর্দা টেনেই এই মেয়েরা সাহসিকতার সঙ্গে দুটা দরজা খুলে দেয়, তখন যাত্রীরা দ্রুত বের হতে শুরু করে।

তিনি বলেন, রিয়েল হিরোরা স্বীকৃতি পায় না। চট্টগ্রামে ক্যাপ্টেন গোলাম শফি এবং তার ফার্স্ট অফিসার মুনতাসির মাহবুব এবং ৫ জন ক্রুকে যথাযথভাবে পুরস্কৃত করা উচিত।

এইচএস/জেএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।