উড়াল সড়কেও জলজট!

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৫:১০ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ব্যাঙ ডাকলেই বর্ষা। এই বদনাম চট্টগ্রামের অনেক আগের। কিন্তু হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নগরের উড়াল সড়কগুলোতেও লেগেছে সেই বদনামের ছোঁয়া।

সোমবার সকাল থেকে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলাগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে কয়েক দফা। আর এই পানিতেই তলিয়ে গেছে মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার মোড় পর্যন্ত নির্মিত ‘আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের’ বিভিন্ন অংশ। উড়াল সড়কের বিভিন্ন অংশে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃষ্টির মধ্যে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের বিভিন্ন অংশে পানি জমে যায়। এতে প্রাইভেটকার, সিএনজি অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। কিছু যানবাহন বিকল হয়ে আটকে যায়। আবার ধীরগতিতে চালাতে হয়েছে গাড়ি।

সিএনজি চালক আকরাম জাগো নিউজকে বলেন, ফ্লাইওভারের পানি নিষ্কাশনের জন্য যে পাইপ ব্যবহার হচ্ছে, তা দিয়ে পর্যাপ্ত পানি অপসারিত হচ্ছে না। তাই ফ্লাইওভারে জমে গেছে। জমে থাকা পানি ওপর দিয়ে যান চলাচল করা অত্যন্ত ঝুঁকি।

তবে সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের প্রকল্প পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমানের দাবি, ফ্লাইওভারে নালা থাকে না। রেইন ওয়াটার পাইপ থাকে। আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভারে প্রতি ১০০ গজ পরপর আমরা রেইন ওয়াটার পাইপ দেয়া হয়েছে। বৃষ্টি বেশি হওয়ায় সেই পাইপগুলোতে পানি আটকে গিয়েছিল। নিয়মিত সংস্কার করলে এ সমস্যা আর থাকবে না।

এদিকে নগরীর পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল বলেন, শক্তিশালী বৃষ্টি বলয়ের কারণে আকাশে ভারি মেঘের আধিক্য আছে। বিশেষ করে সকাল ৯ টা ১০ থেকে ১৮ পর্যন্ত ঘণ্টায় ৬৫ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া রেকর্ড করেছি। মূলত মৌসুমি বায়ুর পরিবর্তন ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। আগামী দু'দিন এ অবস্থা অব্যাহত থাকবে। বৃষ্টি বা বজ্র বৃষ্টির সঙ্গে মাঝারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।’

আবু আজাদ/জেএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।