অসাংবিধানিকভাবে বাবাকে অপসারণ করা হয়েছিল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:১২ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বিকল্পধারা বাংলাদেশের সংসদ সদস্য মাহী বি. চৌধুরী বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার সম্পূর্ণ মিথ্যাচারের মাধ্যমে অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে ওই সময়ের রাষ্ট্রপতি আমার বাবা এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে পদত্যাগে বাধ্য করেছিল। সংসদীয় দলের সভায় খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে এ অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’

জাতীয় সংসদে রোববার রাতে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন এক সময়ের বিএনপির এ সংসদ সদস্য।

আলোচনায় অংশ নেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, সাবেক হুইপ বেগম সাগুফতা ইয়াসমীন এমিলি, সরকারি দলের ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, হাবিবুর রহমান, মোরশেদ আলম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরী প্রমুখ।

মাহী বি চৌধুরী বলেন, তারেক রহমান আমাকে ফোন করে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ডিনারের প্রস্তাব যখন দিলেন, তখন বিএনপির সংসদীয় দলের সভায় খালেদা জিয়া আমাকে ডেকে বলেন, রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগের দায়িত্ব তোমাকে দিলাম। অর্থাৎ অন্যায়ভাবে পিতাকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হলো, আর ছেলেকে দায়িত্ব দেয়া হলো জল্লাদের। বিএনপি সরকার পাঁচ বছরে যে নিষ্ঠুরতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছে, তা ইতিহাসের পার্ট হয়ে থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের বিভীষিকাময় শাসন দেশবাসী দেখেছে। আমার ওপর ১৯ বার হামলা চালানো হয়েছে। গান পাউডার দিয়ে আমাদের পুরো বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। কোথাও একটি বাড়ি ভাড়া পর্যন্ত নিতে দেয়নি ওই সময়ের সরকার। সারাদেশে যখন চরম আন্দোলন চলছে, তখন হাওয়া ভবনে জিয়া পরিবারের ক্রিকেট ম্যাচের ঘটনাও মানুষ দেখেছে। উপহাসের একটা সীমা আছে।’

মাহী বলেন, ‘গত নির্বাচনের আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে বিএনপি আসলে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে স্বাধীনতাবিরোধীদের ছেড়ে আসতে হবে- এটা বলায় অনেক চাপ দেয়া হয়েছে। ড. কামাল হোসেন, আ স ম আবদুর রবরা বিএনপি-জামায়াতকে নিয়ে একই মার্কায় ভোট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ আমরা মেনে নেয়নি। মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে, যুদ্ধাপরাধী প্রশ্নে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ১৪ দল, জাতীয় যুক্তফ্রন্টের যে ঐক্য গড়ে উঠেছে তা চিরদিন অটুট থাকবে।’

এইচএস/এনডিএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।