মুক্তিযুদ্ধে অবদান : পর্যায়ক্রমে ১৭০০ বিদেশিকে সম্মাননা
মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখায় পর্যায়ক্রমে মোট ১ হাজার ৭০০ জন বিদেশিকে স্বীকৃতি ও সম্মাননা দেয়া হবে। ইতোমধ্যে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ ৩৩৯ জনকে এ সম্মাননা দেয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদে রোববার সরকারি দলের মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের (বীর উত্তম) প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ে ২০১১ সালের ২৫ জুলাই ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে স্বাধীনতা সম্মাননা দিয়ে শুরু হয়ে ২০১৫ সালের ৭ জুন ৮ম পর্যায় পর্যন্ত মোট ৩৩৯ জন বিদেশিকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।’
মোজাম্মেল হক জানান, মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখায় ২০১১ সালে ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়। এ ছাড়া ৫ম পর্যায়ে ২০১৩ সালের ৪ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা প্রদান করা হয় ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীকে এবং ২০১৫ সালের ৭ জুন সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে এ সম্মাননা দেয়া হয়। সম্মাননা প্রদানকারীদের মধ্যে শীর্ষে ভারতের ২১৭ জন ব্যক্তি এবং ১০টি প্রতিষ্ঠান, এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ২৬ জন, তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের ১৭ জন ব্যক্তি, যাদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা বিদেশি নাগরিককে যে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে তার জন্য কারো কাছ থেকে কোনো আবেদন চাওয়া হয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে বিদেশি এসব বন্ধু ও প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা হয়।
২৬ মার্চের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ
সরকারি দলের অপর সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে যাচাই-বাছাই করে তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। আসছে ২৬ মার্চের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে।
মন্ত্রী জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে যাচাই-বাছাই করে তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। ওই তালিকা পর্যালোচনা করে বিশেষ করে ভারতীয় তালিকা, বেসামরিক গেজেট, শহীদ বেসামরিক গেজেট, সশস্ত্র বাহিনী শহীদ গেজেট, শহীদ বিজিবি গেজেট, যুদ্ধাহত গেজেট, খেতাবপ্রাপ্ত গেজেট, সেনাবাহিনী গেজেট, বিমানবাহিনী গেজেট, নৌবাহিনী গেজেট, নৌ কমান্ডো গেজেট, বিজিবি গেজেট, পুলিশ বাহিনী গেজেট, আনসার বাহিনী গেজেট, স্বাধীন বাংলা বেতার শব্দ সৈনিক গেজেট, বীরঙ্গনা গেজেট, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গেজেট, ন্যাপ কমিউনিস্ট পার্টি ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী গেজেট, লাল মুক্তিবার্তা, লাল মুক্তিবার্তা স্মরণীয় যারা বরণীয় যারা, মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় তালিকা (সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী), ভারতীয় তারিকা (পদ্মা), ভারতীয় তালিকা (মেঘনা), যুদ্ধাহত (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) গেজেট, মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় তালিকা (সেক্টর), বিশ্রামগঞ্জ হাসপাতালে নিয়োজিত/ দায়িত্বপালনকারী মুক্তিযোদ্ধা গেজেট, যুদ্ধাহত সেনা গেজেট তালিকা পর্যালোচনা করে ২০১৯ সালের ২৬ মার্চের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে।
এইচএস/এনডিএস/পিআর