সারারাত ঘুমাননি প্রধানমন্ত্রী
পুরান ঢাকার চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবর শোনামাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ উদ্যোগে খোঁজখবর নেয়া শুরু করেন। এ সময় তাকে খুব চিন্তিত ও বিমর্ষ দেখা যায়। সারারাত ঘুমাতে পারেননি। নিজেই উদ্ধার অভিযান পরোক্ষভাবে তদারকি করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন চুড়িহাট্টা মোড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় এ তথ্য জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় ৭০ জনের প্রাণহানি এবং ৪১ জনের আহত হওয়ার খবর তুলে ধরা হয়। আহতদের মধ্যে দগ্ধ নয়জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই ঘটনায় এখনও ১৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র খোকন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনার পর থেকে সার্বক্ষণিক অগ্নিকাণ্ডের খোঁজখবর রাখেন। তিনি সুষ্ঠুভাবে উদ্ধার তৎপরতায় প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনাও দেন। সারারাত তার তত্ত্বাবধানে আমরা উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেছি।’
‘প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনায় নিহত ও আহত সবার পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন’- যোগ করেন মেয়র সাঈদ খোকন।
আরও পড়ুন >> তদন্তের পর কেমিক্যাল কারখানা উচ্ছেদ : কাদের
ব্রিফিংয়ে মেয়র আরও জানান, অগ্নিকাণ্ডের উদ্ধার কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে। তবে পর্যবেক্ষণের জন্য তিনটি টিম কাজ করবে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৭০ জন। আহত হয়েছেন ৪১ জন। আহতদের মধ্যে বেশকয়েকজনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
নিহতদের শনাক্তের কাজ চলছে। যাদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে না তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করে পরিচয় শনাক্ত করা হবে।
আরও পড়ুন >> চকবাজারের আগুনে ৭০ মরদেহ উদ্ধার : ফায়ার সার্ভিস
এদিকে অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসায় ২০ লাখ টাকা দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবারের জন্য এক লাখ এবং আহত শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
এসআই/এআর/এমএআর/আরআইপি