৭০টি উদ্ধার, থাকতে পারে আরও লাশ : আইজিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:১৯ এএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

রাজধানীর চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, এ ধরনের আবাসিক এলাকা, জনবহুল এলাকার মধ্যে কেমিক্যাল গোডাউন থাকা উচিত না। আবাসিক এলাকা থেকে কেমিক্যালের সব ধরনের উৎস সরিয়ে ফেলা উচিত। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু কেমিক্যালের এসব উৎস অপসারণে সিটি কর্পোরেশনসহ আরও বিভিন্ন সংস্থা রয়েছে। তাই ঘনবসতিপূর্ণ পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল বা বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্যের উৎস সরাতে সিটি কর্পোরেশনসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর চকবাজারে আগুন লাগার ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

আইজিপি বলেন, ‘এটা তো কেমিক্যাল গোডাউন। রাসায়নিক পদার্থ ছিল। ফলে আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। ওই ভবনে খুব দ্রুত আগুন ছড়িয়েও পড়ে। আশপাশেও তা ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের কারণে তা নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে।' 

আগুনে ৭০ জনের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এখন পুরো ভবন খুঁজে দেখা হচ্ছে আর কোনো মৃতদেহ আছে কি না। আমরা মনে করছি, আরও কয়েকজনের মৃতদেহ থাকতে পারে। পুরো ভবনটি খুঁজে দেখার পর তা বোঝা যাবে।’

তিনি বলেন, এই আগুনের ঘটনা ছিল ভয়াবহ। এখানকার রাস্তা সরু, কাছেপিঠে পানির উৎস নেই। তার ওপর এই ভবনে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থের গুদাম ছিল। এর আগেও এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। এ ধরনের জায়গায় আগুন লাগলে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে।

জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, একদিকে তো সেখানে রাসায়নিক গুদাম, তার ওপর ওই ভবনের সামনে কয়েকটি গাড়ি ছিল, যেগুলো গ্যাসে চলে। এই আগুনের কারণে গাড়িগুলো বিস্ফোরিত হয়। আরেকটি গাড়ি ছিল, যার ভেতর ছিল অনেকগুলো সিলিন্ডার। ওই সিলিন্ডার হয়তো আশপাশের বাড়িতে ও হোটেলে গ্যাস সরবরাহের জন্য ছিল। ওই গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। এ কারণে মৃত ব্যক্তির সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেড়ে যায়। আগুন নেভানো কঠিন হয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট কাজ করছে। এ ছাড়া তিনটি হেলিকপ্টার দিয়ে ওপর থেকে পানি দেয়া হয় আগুন নেভানোর জন্য।

রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের ভবনগুলোতে লাগা ভয়াবহ আগুনে দগ্ধ অন্তত ৭০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে।

বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের একটি ভবন থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে স্থানীয়রা জানান। পরে তা পাশের ভবনগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। সর্বশেষ রাত ৩টার দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ২০০ কর্মী। তবে ছোট গলি ও পানির স্বল্পতার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রচণ্ড বেগ পেতে হয়।

জেডএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।