যদি বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়, তাহলে কী হবে?
রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারে লাগা ভয়াবহ আগুনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৬৬টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় চুড়িহাট্টায় স্থাপিত ফায়ার সার্ভিসের অস্থায়ী তথ্য কেন্দ্র থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
ভয়াবহ এমন আগুনের হাত থেকে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির রক্ষায় করণীয় কী- এ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল চকবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজের কাছে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে স্থানীয়দের সচেতন হতে হবে। এ ধরনের বিপর্যয় রোধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার।
তিনি বলেন, ‘বাড়িওয়ালাদের অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে কেমিক্যাল গুদাম করা হয়েছে, এগুলো বন্ধ করতে হবে। যিনি এ গুদামের মালিক, তিনি হয়তো থাকেন গুলশানে। কিন্তু দুর্ঘটনায় মারা যায় সাধারণ মানুষ।’
‘আবাসিক এলাকায় এ ধরনের কোনো কোম্পানি যেন থাকতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ফায়ার কিন্তু এগুলো অনুমোদন দেয় না, যারা দেয় তাদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ফায়ার রাস্তাও তৈরি করে না। আজ আমরা আধুনিক একটি গাড়িও উদ্ধার কাজে ব্যবহার করতে পারিনি। যদি বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়, তাহলে কী হবে?’
‘যে পাঁচটি ভবনে আগুন লেগেছে প্রতিটিতে কেমিক্যাল মজুদ করা ছিল’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘নিচে হোটেল, হোটেলের উপরে কেমিক্যালের গোডাউন, তার উপরে মানুষের বসবাস। এভাবে তো চলতে পারে না। কেমিক্যালের কারণে বারবার আগুন জ্বলে উঠছে, নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। আগুন নেভানোর জন্য যে পরিমাণ পানির দরকার, তাও পাওয়া যাচ্ছে না। এর চেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা আর কী হতে পারে’- প্রশ্ন রাখেন শাকিল নেওয়াজ।
ভোররাত ৫টা ৪৫ মিনিটে উদ্ধার তৎপরতার সর্বশেষ পরিস্থি সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহাম্মেদ খান বলেন, আগুন লাগা হাজি ওয়াহেদ ম্যানসনের পুরো ভবনটি পুড়ে টেম্পারিং নষ্ট হয়ে গেছে। এটি ধসে পড়তে পারে- এমন আশঙ্কায় স্থানীয়দের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মাইকিং করা হয়েছে, সবাই যেন নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। সাধারণত কোনো ভবন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা জ্বললে ধসে পড়ার আশঙ্কা থাকে। এখানে কেমিক্যাল থাকায় আগুনের তাপ বেশি ছিল।
এমএআর/জেআইএম